ফোরজি সূচনার মাত্র ১৪ মাসের মধ্যে দেশের প্রথম মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১ কোটি ফোরজি গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করেছে গ্রামীণফোন লিমিটেড।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফোরজি উদ্বোধনের পর একই বছরের নভেম্বরেই ৫০ লাখ ফোরজি গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি এবং এরপরে মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির ফোরজি গ্রাহক সংখ্যায় যুক্ত হয় আরও ৫০ লাখ।
দেশের মানুষের হাতে উচ্চগতির ইন্টারনেট তুলে দেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে গত বছরে ফোরজির উদ্বোধন দেশে ডিজিটালকরণের নতুন যুগের সূচনা করে। লাইসেন্স পাবার পর গ্রাহকদের মানসম্মত অভিজ্ঞতা দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে দেশব্যাপী ৪জি নেটওয়ার্কের বিস্তার শুরু করে গ্রামীণফোন।১৮০০ মেগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে ফোরজি বিস্তারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযুক্ত। ফোরজি লাইসেন্সের সাথে ১৮০০ ব্যান্ডে সবচেয়ে বেশি তরঙ্গ আছে গ্রামীণফোনের।
দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের উপযোগীতা বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে ইন্টারনেট সেবা গ্রহীতার সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। প্রাথমিক ভাবে শহুরে জীবনে প্রবেশের মাধ্যমে ও ধীরে ধীরে মফস্বল ও গ্রামাঞ্চলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবার বিস্তার ঘটার সাথে সাথে বাংলাদেশের নাগরিকদের জীবনধারা ব্যাপক হারে পাল্টে যাচ্ছে। তথ্যসংগ্রহের প্রধান মাধ্যম থেকে শুরু করে কৃষির উন্নয়নে নতুন ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠা, অনলাইনে কাঁচাবাজার সেবা থেকে শুরু করে গণপরিবহন সেবা ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি ক্ষেত্রে নতুন নতুন সেবার উদ্ভাবনের মাধ্যমে ইন্টারনেট আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত।
এ মাইলফলক নিয়ে গ্রামীণফোনের ডিসিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, ‘এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্রুত সময়ে ৪জি প্রযুক্তি বিস্তারে বাংলাদেশ অন্যতম। একটি দেশ মোবাইল ব্রডব্যান্ড প্রুযুক্তির বিস্তারের মাধ্যমে কত দ্রুত ডিজিটাইলাজেশানের দিকে এগিয়ে যেতে পারে এবং নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে -বাংলাদেশ এখন তারই একটি উদাহরণ। গ্রামীণফোন দেশের সব প্রান্তে, সবার কাছে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৈাঁছে দিতে প্রয়ােজনীয় বিনিয়োগ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। ১ কোটি ৪জি গ্রাহকের গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কে আস্থা রাখার মাইলফলকটি আমাদের অঙ্গীকার আরও দ্রুত ও মানসম্মতভাবে বাস্তবায়নে উৎসাহ যোগাবে।”
প্রথম অপারেটর হিসেবে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট সূচনা করে গ্রামীণফোন এবং দেশজুড়ে এর বিস্তৃতি ঘটায়। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী তথ্যে অভিগম্যতায় দেশের মানুষকে সুযোগ করে দিয়েছে। দেশের মানুষের ডিজিটাল লাইফস্টাইল ইকোসিস্টেম তৈরিতে প্রতিষ্ঠানটি ধারাবাহিকভাবে বিনিয়োগ করেছে। ইন্টারনেট সহায়ক ডিভাইসের দাম কমানোর ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব করেছে। বর্তমানে, ৩ কোটি ৭০ লাখের বেশি গ্রাহক গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
সেবার মান ঠিক রেখে গ্রামীণফোন দেশজুড়ে ধারাবাহিকভাবে ফোরজি কাভারেজ বিস্তৃত করে যাচ্ছে। সম্প্রতি, প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ এশিয়াতে অন্যতম শীর্ষ টেলিকম অপারেটর হিসেবে এবং বাংলাদেশে প্রথম অপারেটর হিসেবে এনবি-আইওটি নেটওয়ার্ক চালু করে।