জীবনে প্রত্যাশার কোনও শেষ নেই। মানুষ স্বভাগতভাবেই যা পায় তার চেয়েও বেশি চায়। তবে সেগুলো কীভাবে পাবে সে বিষয় নিয়ে সন্দিহান থাকে। অনেকেই অর্জনের মাঝপথে এসে হাল ছেড়ে দেন। তবে লক্ষ্য স্থির থাকলে ও কিছু বিষয় মেনে চললে জীবনে যা চান তা পাওয়া সম্ভব।
১। লক্ষ্যস্থির করুন, প্রেরণা নয়
আপনার লক্ষ্য বাস্তবায়নে কতোটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ? এটি আপনার জন্য কতোটা গুরুত্বপূর্ণ এবং লক্ষ্য অর্জনে কতোটা ছাড় দিতে পারবেন? যদি আপনি লক্ষ্য বাস্তবায়নে পুরোপুরি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকেন তাহলে প্রেরণাই আপনাকে অনুসরণ করবে!
২। ফলাফল নয়, জ্ঞান খুঁজুন
আপনি যদি উদ্ভাবন, উন্নয়ন, অন্বেষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষাতে মনোযোগী হন তাহলে আপনার প্রেরণা সবসময় পরিপূর্ণ থাকবে। যদি আপনি শুধুমাত্র ফলাফলের দিকে তাকান তাহলে আপনার প্রেরণা আবহাওয়ার মতো হবে, ঝড়ে পড়লেই দুমড়ে মুচড়ে যাবে। তাই আপনার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত এগিয়ে চলা, গন্তব্য নয়। এই পথে আপনি যা শিখছেন তা কাজে লাগান।
৩। আপনার অগ্রযাত্রাকে মজার করে তুলুন
জীবনে প্রতিটি অর্জনের পেছনে থাকে একটি খেলা। হার-জিত থাকবেই। যদি এটাকে সিরিয়াসভাবে নেন তাহলে ভেঙ্গে পড়তে পারেন। তাই চলার পথকে মজার করে তুলুন। পড়ে গেলে উঠে আবারও চলার চেষ্টা করুন।
৪। চিন্তা-ভাবনাকে কাজে লাগান
কোনও কিছু অর্জন করার আগে মানুষের মনে দুই ধরণের চিন্তা ভাবনা কাজ করে। এর মধ্যে একটি আপনাকে ভয়, সন্দেহ এনে দেয়; অন্যটি এগিয়ে যেতে সাহায্য করে (নতুন কিছু শেখা, জানা, পরখ করার ভাবনা)।
৫। দৃষ্টিভঙ্গি কাজে লাগান
খারাপ চিন্তা-ভাবনাকে পাশ কাটানোর পর আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কাজে লাগাতে হবে। যখন ভালো কিছু হবে তখন পরিপূর্ণ ‘পজিটিভ এনার্জি’ পাবেন, আর যখন সমস্যার মুখোমুখি হবে তখন আপনাকে আরও উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। সমস্যা আসলে কাজকে ঘৃণা না করে একটু ভিন্নভাবে দেখার চেষ্টা করুন। কাজ কিংবা বস যতোই খারাপ হোক না কেনো আপনি তার থেকে কিছু শিখতে পারবেন। তাই ‘পজিটিভ’ থাকুন।
৬। আপনি পারবেন
প্রতিবন্ধকতা আসবে, তাই বলে ভেঙ্গে পড়বেন না। বরং সঠিক সময়, সঠিক সুযোগের অপেক্ষা করুন। সবসময় মনে রাখতে হবে, আপনি পারবেন। নিজের প্রতি নিজেই চ্যালেঞ্জ করুন।
৭। অন্যের উপর নির্ভরশীল হবেন না
আপনার কাজ সবসময় অন্য কেউ করে দেবে এটি ভাববেন না, যে যতই আপনার অংশীদার, বন্ধু বা বস হোক না কেনো। তারা তাদের কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকবে। কেউ আপনাকে খুশি করবে না বা আপনার লক্ষ্য বাস্তবায়ন করে দেবে না; আপনাকেই করতে হবে।
৮। পরিকল্পনা করুন
কখন, কী, কীভাবে করবেন এগুলো পরিকল্পনা করুন। প্রতিদিনই দেখুন কতোটা এগিয়েছেন, কী শিখেছেন এবং সেগুলো মিলিয়ে দেখুন, শিক্ষা নিন ও কাজে লাগান।