যদি আপনি নিজেকে প্রশ্ন করেন যে ইন্টারনেটের দুনিয়ায় আমার পরিবারের স্থান কোথায়? এখানে তার কিছু উত্তর পাবেন। বাংলাদেশ, মায়ানমার, ভারত এবং থাইল্যান্ডের বিভিন্ন পরিবার ও তরুণ-তরুণী তাদের জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠা, ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে তারা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন ইত্যাদি বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন।
উজমা মুয়ীদ, বাংলাদেশ
৪৩ বছর বয়সী উজমা মুয়ীদ বাংলাদেশের একজন ফ্রিল্যান্স ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এবং তিনি ১৩ ও ১৯ বছর বয়সী দুটি সন্তানের জননী। মুয়ীদের সন্তানেরা প্রতিদিন প্রায় ৪ ঘন্টা ইন্টারনেট ব্যবহার করে, ছুটি দিনে যার ব্যবহার আরও বেড়ে যায়। সর্বশেষ খবরটি জানতে, স্কুল প্রজেক্টের জন্য তথ্য খুঁজতে অথবা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য মুয়ীদের বাড়িতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়। কাজ, গবেষণা এবং সামাজিক যোগাযোগে ইন্টারনেটের ক্ষমতাকে মুয়ীদের পরিবার গ্রহণ করায় এটা সম্ভব হয়েছে।
মিসেস মুয়ীদ জানিয়েছেন যে ফেইসবুক তার সন্তানদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম। তিনি মনে করেন যে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে প্রাপ্ত তথ্য থেকে ভুয়া পরিচয় তৈরি করা খুবই সহজ। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের অনেক সচেতন অভিভাবকদের মতো, উজমা মুয়ীদও নিজের সন্তানদের অনলাইন উত্যক্তকারীর কাছ থেকে নিরাপদ রাখার বিষয়ে সচেতন। একজন সচেতন অভিভাবক হিসেবে, তিনি তার সন্তানদের অনলাইনে নিরাপদ রাখার জন্য তাদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন। ফেইসবুকে তারা কীভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছে সেটা নিয়েও খোলামেলা আলাপ হতে পারে। অপরিচিত লোকদের হাত থেকে তার সন্তানদের নিরাপদ রাখা ছাড়াও মুয়ীদ তার সন্তানদেরকে ফেইসবুকের যে অংশটুকু সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে সেই অংশে খুব কম ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করতে বলেছেন।
মিসেস মুয়ীদের মতো অভিভাবকদের জন্য ইন্টারনেটে সন্তানদের নিরাপদে রাখতে ফেইসবুক যেসব নিয়মকানুন চালু করেছে তা নিচে দেয়া হলো।
ফেইসবুকে তের বছরের কম বয়সী শিশুদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি প্রাইভেট প্রোফাইল দেয়া হয়। অপরিচিত লোকজন ফ্রেন্ড হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এই প্রোফাইলগুলো দেখতে পারে না। ফেইসবুক ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্ট সেটিংস ‘প্রাইভেট’ করে ফেলতে পারে। এর ফলে অপরিচিত লোকজন তাদের লিংক, কমেন্ট, প্রোফাইল পিকচার ও ফ্রেন্ড লিস্ট দেখতে পারে না। এছাড়াও অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক থাকতে বলতে পারেন, কারণ ফেইসবুকে অনেক বন্ধুর পরিচয় ভুয়া হতে পারে।