পৃথিবীর টেলিস্কোপ কিন্তু অবস্থান মহাশূন্যে। সেই টেলিস্কোপের জন্মদিন ২৪ এপ্রিল। ‘হাবল টেলিস্কোপ’ এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত পৃথিবীর সবচাইতে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। ১৯৯০ সালের ২৪ এপ্রিল আমেরিকান স্পেস এজেন্সি নাসা এই টেলিস্কোপটি মহাকাশে পাঠায়। অনেকেই মনে করেন মানবজাতির তৈরি অন্যতম শক্তিশালী বৈজ্ঞানিক যন্ত্র এই হাবল টেলিস্কোপ।
আমেরিকার নভোচারী এডউইন হাবলের নামানুসারে এই টেলিস্কোপের নাম রাখা হয়েছে। পৃথিবী থেকে ৫৬০ কিলোমিটার উপরে ভেসে রয়েছে মহাকাশ গবেষণার এই যন্ত্র। হাবল আয়তনে একটা বড়সড় স্কুল বাসের সমান। ওজনে দুইটি প্রাপ্তবয়স্ক আফ্রিকান হাতির সমান। প্রতি ঘণ্টায় টেলিস্কোপটি ২৮,১৬৪ কিলোমিটার গতিবেগে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।
এই যন্ত্র যখন শোঁ শোঁ শব্দে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে, তখন একই সাথে ছবিও তুলছে আর সমান তালে সেগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন নভোচারীদের কাছে প্রেরণ করে যাচ্ছে। হাবলকে ঠিকঠাক করার জন্য আর উন্নত করার জন্য বেশ কয়েকবার নভোচারীরা মহাকাশ ভ্রমণ করেছে।
মহাবিশ্ব সম্পর্কে অনেক বড় বড় আবিষ্কারে আমাদের সাহায্য করেছে হাবল টেলিস্কোপ। প্রচুর গ্রহ, নক্ষত্র, তারা, ছায়াপথ ইত্যাদি সম্পর্কে আমরা অনেক তথ্য পেয়েছি। ব্ল্যাক হোলের উপস্থিতি সম্পর্কে আমাদের নিশ্চিত করেছে এই হাবল টেলিস্কোপই। লক্ষ লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত নক্ষত্রদের আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে হাবলের জন্যই।
আমাদের মহাবিশ্ব যে ১৩.৭ বিলিয়ন বছরের পুরনো সে তথ্যও আমাদের জানা সম্ভব হয়েছে এই টেলিস্কোপের সাহায্যে। সময়ের সাথে সাথে যে মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে সে মূল্যবান তথ্যটিও আমাদের দিয়েছে হাবল টেলিস্কোপ। জয়তু হাবল টেলিস্কোপ।