আপনার সন্তান কি স্ট্রেসের শিকার? তা হলে ওকে একটু বাইরে হাঁটতে নিয়ে যান। প্রকৃতির সংস্পর্শে এলে বাচ্চাদের খুব তাড়াতাড়ি মন ভালো হয়ে যায়। এমনটাই দাবি হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষক দলের। যেসব শিশুরা প্রকৃতির কাছাকাছি থাকে, তাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা, হাইপার অ্যাক্টিভিটির সমস্যা কম। তাদের মধ্যে আচরণগত ও অনুভূতিগত সমস্যাও অনেক কম দেখা যায়। এ ধরনের শিশুরা অনেক বেশি সামাজিক হয়।
প্লাস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত এই সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, বহু পরিবারেরই হাতের কাছে একটুকরো সবুজ থাকলেও সন্তানদের নিয়ে সেখানে তারা যান না। অথচ এই ছোট্ট পদক্ষেপেই শিশুর মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।
‘‘অনেক বাবা মা মনে করেন গাছপালা, মাটির মধ্যে নোংরা থাকে, এই ভাবনা পরে শিশুদের মধ্যেও সংক্রামিত হয়।”- বলেন ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের তানজা সোবকো।
অনেক সময় আবার সবুজ এলাকা যাতে নষ্ট না হয়ে যায় সেজন্য সোসাইটির তরফে সেখানে ‘দূরে থাকুন’, ‘স্পর্শ করবেন না’, এ ধরনের নোটিশবোর্ড টাঙানো থাকে।
সমীক্ষক দলের তৈরি ১৬টি প্রশ্নের মধ্যে থেকে শিশুর উপরে প্রকৃতির প্রভাব সম্পর্কে চারটি বিষয়ে সরাসরি জানা গিয়েছে। শিশুর সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক, শিশু প্রকৃতির মধ্যে থাকতে কতটা উপভোগ করে, প্রকৃতির জন্য শিশুর সহানুভূতি, প্রকৃতি সম্পর্কে শিশুর সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ।
সম্প্রতি বেশ কিছু সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটালে শিশুর স্বাস্থ্যেরও উন্নতি সম্ভব। প্রাক-স্কুল শিশুদের কতটা প্রকৃতির কাছে নিয়ে যাবেন সেটা কিন্তু আরেকবার ভেবে দেখার সময় এসে গিয়েছে।
স্ট্রেস কমাতে সাহায্যকারী খাবার:
আপনার মুড কেমন থাকবে, স্ট্রেস দূরে থাকবে কিনা সেটা কিন্তু খানিকটা খাদ্যাভ্যাসের উপরেও নির্ভর করে। যদি আপনার জীবনে স্ট্রেস ও আতঙ্ক অতিরিক্ত চেপে বসে তা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ছাড়া আর উপায় নেই, কিন্তু যদি তা খুব বেশি বেড়ে না গিয়ে থাকে, তা হলে এইসব খাবার খেয়ে দেখুন তো উপকার পান কি না?
১. ওটস
২. কলা
৩. দই
৪. চেরি
৫. নারকেল
ভিটামিন ও খনিজে পূর্ণ এ সব খাবার আপনার ডায়েটে যুক্ত করুন আর দুশ্চিন্তাকে বলুন বিদায়।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি