১৯৮৮ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশে ৩০ বছর সম্পন্ন করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল পেমেন্ট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ভিসা। এই বিশেষ মুহুর্তকে স্মরণে রাখতে নতুন দুটি প্রযুক্তি চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিনিয়ত ডিজিটাল পেমেন্ট প্রযুক্তিতে নতুনত্ব আনার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কন্ট্যাক্টলেস কার্ড উন্মোচন করেছে ভিসা। এছাড়াও শিগগিরই দেশের বাজারে কিউআরভিত্তিক পেমেন্ট সল্যুশন নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
দক্ষিণ এশিয়া ও ভারতের গ্রুপ কান্ট্রি ম্যানেজার টিআর রামাচন্দ্র বলেন, ডিজিটাল পেমেন্ট সল্যুশনকে আরও জোরদার এবং গতিশীল করতে গত ৩০ বছর ধরে বাংলাদেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদার ও মার্চেন্টদের সঙ্গে আমাদের শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল পেমেন্ট সল্যুশন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভূমিকা রাখতে পেরে আমরা গর্বিত।
ভিসা কনজ্যুমার পেমেন্ট এটিটিউড্স ষ্টাডি ২০১৭ অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ নতুন পদ্ধতির পেমেন্ট সল্যুশন গ্রহণ করতে প্রস্তুত, যেখানে ৭৪ শতাংশ মানুষ মনে করে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে লেনদেন অনেক সহজভাবে করা যায়।
অংশীদার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে কন্ট্যাক্টলেস কার্ড ব্যবসায়িকভাবে চালু করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে ভিসা। ইএমভি চিপ প্রযুক্তির মাধ্যমে কন্ট্যাক্টলেস পেমেন্ট সল্যুশন প্রদান করবে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবহারকারীরা তাদের কন্ট্যাক্টলেস কার্ডটি কন্ট্যাক্টলেস রিডারের কাছাকাছি ধরলে মূহুর্তেই পেমেন্ট সম্পন্ন হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর স্বাক্ষর কিংবা পিন নম্বরের প্রয়োজন পড়বে না।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে প্রথম ইএমভিভিত্তিক ইন্টারোপেরেবল কিউআর পেমেন্ট সল্যুশন আনার ঘোষণা দিয়েছে ভিসা। দেশের প্রায় ১৪৯ মিলিয়নের বেশি মোবাইল ব্যবহারকারী (বিটিআরসি’র তথ্য মতে) যেখানে ফিচার ফোন ব্যবহারকারীর অন্তর্ভূক্ত, ফলে দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে কিউআর প্রযুক্তির বিশাল একটি বাজার রয়েছে।
সম্প্রতি ভিসার রুবিনি থটল্যাব ষ্টাডি কমিশনড পরিচালিত এক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় বসবাসকারী ১৫,৮১৭,০০০ জন, যাদের জিডিপি ৪৭.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ একটি মহানগরই বছরে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লভ্যাংশ গুনতে পারবে যদি তারা ডিজিটাল অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হয়। হিসাব করে দেখা গেছে এ শহরে আগামি ১৫ বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ৩৪.৯ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানে ৪.৪ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ৪৭টি সরকারি ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংক, আন্তর্জাতিক ব্যাংক এবং প্রায় ৩০ হাজার মার্চেন্টের সঙ্গে ডেবিট, ক্রেডিট, ব্যবসায়িক ও প্রিপেইড সেবার মাধ্যমে দেশব্যাপি সেবা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।