নেভাদার বিজ্ঞানীরা নতুন একটি দ্রুত গতিসম্পন্ন ট্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। ট্রেনটির নাম দিয়েছেন তারা ‘হাইপারলুপ’।
আমেরিকার প্রখ্যাত ব্যবসায়ী, ইঞ্জিনিয়ার এবং আবিষ্কারক এলন মাস্কের নতুন উদ্যােগ এটি। স্পেসএক্স এবং টেসলা মোটরসের এই প্রতিষ্ঠাতা নতুন এ ট্রেনের দ্বারা সান ফ্রান্সিসকো এবং লসএঞ্জেলকে সংযুক্ত করার কথা চিন্তা করছেন।
হাইপারলুপ হবে সিলিন্ডার আকৃতির এবং এটি থাকবে বায়ুপূর্ণ। এর ভেতর থেকে নিয়মিতভাবে বায়ুর চাপ কমানো হবে। প্রকৌশলীরা বলছেন, পুরোপুরি বায়ুশূন্য ট্রেন তৈরি করা সম্ভব নয়। কিন্তু নিয়মিতভাবে এই বাতাস বের করে চাপ কমিয়ে দিলে কম বায়ুপ্রতিরোধ এবং কম ঘর্ষণের ফলে অনেক দ্রুত চলতে পারবে এটি।
ট্রেনটি পানির নিচ দিয়েও যেতে পারে। তাই সে কথাও চিন্তা করছে হাইপারলুপ নির্মাতারা।
সরু হাইপারলুপ ট্রেন বাতাসে ভেসে থাকবে। এটি চলবে ৭৭৭ মাইল বা ১২৫০ কিলোমিটার / ঘণ্টা গতিবেগে। তবে এই গতি নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছেন। বলছেন অস্বাভাবিক এই উচ্চগতির কারণে যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন এবং এই সরু কেবিনে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়াও সম্ভব না।
তবে উচ্চগতিসম্পন্ন ম্যাগনেটিক লেভিয়েশন বা ম্যাগলেভ ট্রেন এখনই যাত্রী পরিবহন করছে জাপান এবং চীনে। চীনের সাংহাই ম্যাগলেভ ট্রেন বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতির ট্রেন যা ঘণ্টায় ৪৩০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে।
চাকাচালিত ট্রেনগুলোর মধ্যে টিভিজি ট্রেন ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার বেগে চলে। জার্মানি, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, ইটালি এবং সুইজারল্যান্ডে এই ট্রেন রয়েছে।