এবারের বিষয় ‘রাগবি’ খেলা

রাগবি আমাদের দেশে খুব একটা জনপ্রিয় না হলেও পশ্চিমা দেশগুলােতে ভীষণ জনপ্রিয়। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকা, আর্জেন্টিনা, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জসহ প্রায় ১০০টিরও বেশি দেশে খুবই জনপ্রিয় খেলা রাগবি।

এই খেলায় ব্যবহৃত বলটি অনেকটা ডিম্বাকৃতির ফুটবলের মত। সচরাচর বলটিকে রাগবি নামেই ডাকা করা হয়। ফুটবল, ক্রিকেটের মত এরও জন্মস্থান ইংল্যান্ড।

ইংল্যান্ডের একটা এলাকা আছে যার নাম 'রাগবী'। সেখানে একই নামের একটা স্কুলও আছে 'রাগবি স্কুল'। সেই স্কুলের ছাত্র ছিলেন উইলিয়াম ওয়েব এলিস। ১৮২৩ সালে এলিস একবার ফুটবল খেলতে খেলতে হঠাৎ বল হাতে নিয়ে তিনি দৌড় দিয়েছিলেন।

এরপর রাগবি স্কুলের ছাত্ররা এ বিষয়টায় মজা পেতে শুরু করে এবং হাত দিয়ে ফুটবল খেলা শুরু করে। কালক্রমে তাদের এই খেলা ছড়িয়ে পড়তে থাকে চারপাশে এবং স্কুলের নামানুসারে এ খেলার নাম হয় রাগবি।

যদিও এই গল্পের পক্ষে-বিপক্ষে প্রচুর মত রয়েছে, তবে ওয়েব এলিসকে আজও রাগবির জনক হিসেবেই দেখা হয়। বিশ্বকাপ রাগবির যে ট্রফি রয়েছে সেটার নামও ওয়েব এলিস ট্রফি।

১৮৪৫ সালে প্রথমবারের মতো রাগবি ফুটবলের জন্য আইন প্রণয়ন করা হয়। ১৮৮৬ সালে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে ইন্টারন্যাশনাল রাগবি বোর্ড (IRB) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংঘঠনটির মূল কাজগুলো হচ্ছে-

১. খেলার নিয়ম-কানুন প্রবর্তন ও সুষ্ঠুভাবে খেলা পরিচালনা করা।

২. বিভিন্ন টুর্নামেন্টের মালিক ও ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন।

৩. বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও সদস্য সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী খেলার অনুমতি ও কৌশলগত অনুদান দেয়া এবং শিক্ষা ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচী প্রণয়ন করা।

৪. খেলাটির প্রচার ও প্রসার করা।

এসব কাজ করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল রাগবি বোর্ডের (IRB) একটি নিজস্ব চার্টার বা দলিলও রয়েছে।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন