পক্ষীকুলের মধ্যে অন্যতম হলো কাঠঠোকরা। বিশ্বে প্রায় ২০০ প্রজাতির কাঠঠোকরা আছে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই কাঠঠোকরা কমবেশি দেখা গেলেও নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, মাদাগাস্কার এবং সামুদ্রিক দ্বীপে এ পাখির কোনো প্রজাতির দেখা যায় না।
আপনি জেনে অবাক হতে পারেন যে, কাঠঠোকরা প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২০ বার শক্ত গাছ বা কাঠ ঠোকরাতে পারে। অথচ এতে তাদের কোনও মাথাব্যাথা হয় না। এমনকি মস্তিস্কের কোনও প্রকার ক্ষতিও হয় না। মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, কেনো?
কাঠঠোকরার মাথার খুলি তাদের ঠোটের থেকে আলাদা। রয়েছে বায়ু চলাচলের আলাদা জায়গাও। এছাড়া কাঠঠোকরার তৃতীয় আরেকটি চোখের পাতা রয়েছে, যার ফলে চোখের উপরও প্রভাব পড়ে না। এছাড়া পাখিটির মস্তিস্কের চারপাশে লম্বা জিহ্বা রয়েছে! এই জিহ্বা গাছের কোটর থেকে পোকামাকড় টেনে বের করতে সাহায্য করে। এসব কিছু কাঠঠোকরাকে নিরাপদ রাখে।
কাঠঠোকরা সারাজীবনে একবার জোড়া বাঁধে। একবার বাসা বেঁধে ডিম ফোটানে শেষে তারা সেটি ছেড়ে নতুন বাসা তৈরি করে। এদের পায়ের আঙ্গুল গাছের সাথে আঁটকে থাকতে বেশ উপযোগি এবং ঠোকরানোর সময় এরা লেজের শক্ত পালকের উপর ভর দিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখে।