সম্পূর্ণ নতুন একটি দ্বীপ জেগে উঠেছে জাপানের উপকূলে। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে উদগিরিত লাভা শীতল হয়ে এই বিরান দ্বীপের জন্ম দিয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছে এই দ্বীপ তাদের গবেষণার একটা বড় উপকরণ হয়ে উঠতে পারে।
দ্বীপটি টোকিওর দক্ষিণে ১ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। জাপানের ওগাসারওয়া দ্বীপপুঞ্জের নিশিনোশিমা দ্বীপের পাশেই জেগে উঠেছে নতুন এই দ্বীপ। নিশিনোশিমা তার সম্পদ এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ বাস্তুতন্ত্রের জন্য বিখ্যাত। নতুন দ্বীপটিও এরকমই হবে বলে সবাই আশা করছেন।
নিশিনোশিমাও একইভাবে জন্ম নিয়েছিল। তাই নতুন দ্বীপটিকে সবাই নতুন নিশিনোশিমা বলেই ডাকছে। দ্বীপটির আয়তন ২.৪৬ কিলোমিটার। দ্বীপের সবটুকুই পাথরের তৈরি যা উত্তপ্ত লাভা ঠাণ্ডা হয়ে তৈরি করেছে।
তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, পাথরের এই বিরানভূমিতেই একদিন গাছের জন্ম হবে, প্রাণীদের আবাসস্থল গড়ে উঠবে। আর একারণেই দ্বীপটিকে বিজ্ঞানীরা ‘প্রাকৃতিক গবেষণাগার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তারা বলছেন এ দ্বীপে প্রাণের জন্মপ্রক্রিয়া শুরু হতে পারে দ্বীপের চারপাশে উড়া পাখিদের মলত্যাগের মাধ্যমে। তারা জানান, দ্বীপটিতে এখনও অগ্নুৎপাত চলছে। এটি থামলে সমুদ্রের স্রোত আর পাখিদের মাধ্যমেই এখানে প্রাণ এসে পৌঁছাবে। অনেক সামুদ্রিক পাখিও এখানে বাসা তৈরি করতে পারে।
দ্বীপের চারপাশে উড়া পাখির পালক, ফেলে দেয়া খাবার আর মৃতদেহ থেকে দ্বীপে গড়ে উঠবে পুষ্টিসমৃদ্ধ উর্বর মাটি যেখানে অঙ্কুরোদগম হতে পারে বীজের। এভাবেই সেখানে গজিয়ে উঠতে পারে গাছ। বিজ্ঞানীরা এ পুরো প্রক্রিয়াটিকেই পর্যবেক্ষণ করবেন। এর আগে নিশিনোশিমা দ্বীপে প্রাণের সঞ্চারও একইভাবে হয়েছিল।