১৯৮১ সালে ইউরোপের বৃহৎ সংগঠন ‘কাউন্সিল অব ইউরোপ’ এর কনভেনশন ১০৮ স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে বিশ্বের প্রথম তথ্য সুরক্ষা দিবস উদযাপন শুরু হয়। ‘কনভেনশন ১০৮’ গোপনীয়তা ও তথ্য সুরক্ষা নিয়ে প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক চুক্তি যা প্রতিপালনের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ২৮ জানুয়ারি ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যালায়েন্স (এনসিএসএ) এর নেতৃত্বে দিবসটি পালিত হয়।
ইউরোপে উদযাপন শুরু হওয়া তথ্য সুরক্ষা দিবস ২০০৮ সাল থেকে উত্তর আমেরিকায় পালন শুরু হয়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ভারতসহ বিশ্বের ৪৭টির বেশি দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এই দিবসটি মূলত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভোক্তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার সর্বোত্তম কলাকৌশল ভাগাভাগি করার সুযোগ করে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যালায়েন্সের (এনসিএসএ) নেতৃত্বে তথ্য সুরক্ষা দিবসের এবারের (২০১৮ সাল) বৈশ্বিক সচেতনতামূলক কার্যক্রমের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘গোপনীয়তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন, তথ্য সুরক্ষা ও আস্থা প্রতিষ্ঠা’।
গত বছর আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ইকিউফ্যাক্স, ভেরিজন, দ্য এনএসএ ও উবারের মতো প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক মাত্রায় তথ্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। এরই প্রেক্ষাপটে কিভাবে ব্যক্তিগত তথ্য ভালোভাবে নিরাপদে রাখা যায় তা জানা মানুষের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৬৮ শতাংশ ভোক্তা বলছেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো (ব্র্যান্ড) তাদের দেয়া ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে তারা আস্থা রাখতে পারছেন না। এ অবস্থায় তথ্য সুরক্ষা দিবস এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তাদের তথ্য সংগ্রহ ও তার ব্যবহার সম্পর্কে অধিক স্বচ্ছ হতে উৎসাহিত করে থাকে। আমাদের সর্বাপেক্ষা সংযুক্ত জীবন এবং ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা ও অনলাইনে গোপনীয়তা রক্ষায় ভোক্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তা তুলে ধরে তথ্য সুরক্ষা দিবস।