‘ডক্টরস উইদআউট বর্ডারস’ নামের একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন সতর্ক করে দিয়েছে আগামী বছরের মধ্যেই সাপের বিষের যে প্রতিষেধক রয়েছে তা শেষ হয়ে যাবে। প্রস্তুতকারকেরা এর উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছেন এবং বর্তমান প্রতিষেধকগুলোর মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
প্যারিসকেন্দ্রিক এই সংগঠনটি সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, উৎপাদন বন্ধ করে দেয়ার কারণে সাপের বিষের অন্যতম কার্যকরী একটি প্রতিষেধকের স্বল্পতা ইতিমধ্যেই দেখা দিয়ে দিয়েছে।
এর ফলে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের জীবন সংকটের মুখে পড়েছে, যাদের বেশিরভাগই উন্নয়নশীল দেশের।
সাপের বিষের প্রতিষেধক তৈরির অন্যতম প্রতিষ্ঠান সানোফি পাস্তুর। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফ্যাভ-আফ্রিক নামের প্রতিষেধকটি উৎপাদন বন্ধ করে গত বছর। আর তাদের বর্তমান প্রতিষেধকগুলোর মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে এ বছরের জুনের মধ্যেই। তারা বর্তমানে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক তৈরিতে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে।
সানোফি পাস্তুরের একজন মুখপাত্র জানান, বাজারে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তাদের চেয়ে কম মূল্যে এই প্রতিষেধক ছাড়ায় তারা এর উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। তবে অন্য প্রতিষ্ঠান চাইলে তারা তাদের এই প্রতিষেধক তৈরির প্রযুক্তি সরবরাহ করতে ইচ্ছুক।
উল্লেখ্য প্রায় ৫০ লাখ মানুষ প্রতি বছর সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে প্রায় ১ লাখ মারা যায় এবং আরও হাজার হাজার মানুষ পঙ্গুত্ব বা অঙ্গহানির শিকার হয়।
ডাক্তারদের এই সংগঠনটি আর জানায়, পৃথিবীতে প্রায় ৬০০ প্রজাতির বিষাক্ত সাপ রয়েছে। যদিও এদের সবার বিষ মারাত্মক নয় তবে অনেকগুলোই অঙ্গহানি, কিডনি নষ্ট বা স্নায়ুবিক বৈকল্যতা সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু তারপরও এই বিষয়টি নিয়ে সবাই সচেতন নয়।
তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।