মাঝে মাঝে একটি দৃশ্য দেখা যায় দূরের কাউকে ডাকতে গেলে আমরা হাত দিয়ে আমাদের মুখটাকে ঘিরে ধরি। দূরের কাউকে ডাকতে হাত দিয়ে মুখটাকেই বা কেন ঘিরে ধরতে হবে ? এমনেও তো মুখে হাত না দিয়ে দূরের কাউকে ডাকা যায়। ডাকা যায় কিন্তু দূরের মানুষটা আদৌ শুনতে পাবে কিনা তা প্রশ্ন রয়েই যায় !
আমরা জানি, গলার ভিতরে স্বরযন্ত্রের পাতলা পর্দার কম্পন শব্দ উৎপন্ন করে। ঐ শব্দ আমাদের মুখ থেকে বেরিয়ে এসে বাতাসের মধ্য দিয়ে চারিদিকে গমন করে। উক্ত শব্দ যখন অন্য কারও কানে গিয়ে পোঁছায় তখনই মানুষটি শব্দটি শুনতে পারে।
বাতাসের মধ্য দিয়ে শব্দ যখন বিস্তার লাভ করে তখন শব্দ তরঙ্গের সাথে শব্দের শক্তিরও বিস্তার ঘটে। এই ক্ষেত্রে শব্দ চতুর্দিকে বিস্তৃত হলেও শব্দের তীব্রতা কমে যায়। একক ক্ষেত্রের উপর আপতিত শব্দ শক্তির পরিমাণ কমে যায় বলে শব্দের তীব্রতাও কমে যায়।
দূরের কাউকে ডাকতে গেলে আমরা হাত দিয়ে আমাদের মুখটাকে ঘিরে ধরি। হাত দিয়ে মুখ ঘিরে ধরলে শব্দ তরঙ্গ চারিদিকে বিস্তৃত হতে পারে না এবং এক দিকেই চলতে থাকে। শব্দ তরঙ্গ একমুখী থাকার কারণে শব্দের সমস্ত শক্তিও ঐ একটি দিকেই বিস্তার লাভ করতে থাকে এবং শব্দের তীব্রতাও কমে যায় না। তাই, সহজেই বেশিদূর পর্যন্ত শব্দের তরঙ্গ বিদ্যমান থাকে। এর কারণে আমাদের থেকে দূরে অবস্থিত কোন ব্যক্তি পরিষ্কারভাবে শব্দ শুনতে সক্ষম হয়।