অ্যাড্রিয়াটিক সাগর ভূমধ্যসাগরের একটি অংশ। ভূমধ্যসাগরের সবচাইতে উত্তরের বর্ধিত অংশ এই সাগর। অ্যাড্রিয়াটিক সাগর ইটালির পূর্ব উপকূল থেকে দক্ষিণে ক্রোয়েশিয়া, মন্টেনিগ্রো পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ইটালিয়ান উপদ্বীপ থেকে বলকান উপদ্বীপকে পৃথক করেছে।

অ্যাড্রিয়াটিক সাগরের তীরবর্তী দেশগুলো হচ্ছে ইটালি, ক্রোয়েশিয়া, মন্টেনিগ্রো, আলবেনিয়া, বসনিয়া-হার্জাগোভিনা ও স্লোভেনিয়া। এই সাগরে প্রায় ১ হাজার ৩০০ দ্বীপ রয়েছে, এগুলোর বেশিরভাগই ক্রোয়েশিয়া উপকূলের দিকে পড়েছে।
অ্যাড্রিয়াটিক সাগরের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৮০৫ কিলোমিটার ও সর্বোচ্চ প্রস্থ প্রায় ২০০ কিলোমিটার। এর আয়তন প্রায় ১,৩৮,৬০০ বর্গকিলোমিটার। সর্বোচ্চ গভীরতা ১২৩৩ মিটার হলেও গড় গভীরতা ২৫২ মিটার। অ্যাড্রিয়াটিক সাগরের লবনাক্ততা তুলনামূলকভাবে ভূমধ্যসাগরের চাইতে কম। ভূমধ্যসাগরে যে পরিমাণ স্বাদু পানি এসে পড়ে তার এক-তৃতীয়াংশই আসে অ্যাড্রিয়াটিক সাগর দিয়ে।

আনকোনা, বারি, ব্রিন্দিসি, দাব্রভনিক, রিজেকা, স্প্লিট ও ভেনিস হচ্ছে অ্যাড্রিয়াটিক সাগরের প্রধান বন্দর। এই সাগরের তীরবর্তী অঞ্চলে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ বসবাস করে। গুরুত্বপূর্ণ এ সাগরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে মৎস্য ও পর্যটন বাণিজ্য। এ সাগরের ১৯টি বন্দর দিয়ে প্রতি বছর হাজার হাজার টন পণ্য পরিবহন করা হয় যা এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
