বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, স্থূলতা বা মোটা হওয়া খুব শীঘ্রই ইউরোপের একটা বড় সমস্যা হতে যাচ্ছে। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো এই ঝুঁকির বাইরে রয়েছে, কিন্তু বাকি দেশগুলো বিপদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে আয়ারল্যান্ড। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটির প্রতি ১০ জন পুরুষের মধ্যে ৯ জনেরই ওজন অতিরিক্ত হয়ে মোটা হয়ে যাবে।
আর আইরিশ মহিলাদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ এই ঝুঁকিতে রয়েছে। আয়ারল্যান্ডের পুরুষ এবং নারীদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক ২০৩০ সালের মধ্যে স্থূলতায় আক্রান্ত হবে।
তবে আপনি যে মোটা এটা কীভাবে বুঝবেন? ৬ ফুট একজন পুরুষের ওজন ১০০ কিলোগ্রাম বা তার বেশি হওয়া মানে হচ্ছে তিনি মোটা। একইভাবে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি একজন নারীর ওজন ৮৪ কেজি বা তার বেশি হলে তিনি মোটা বলে গণ্য হবেন।
গ্রীসে ২০৩০ সাল নাগাদ মোটা মানুষের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ অর্থ্যাৎ ৪০ শতাংশ হয়ে যাবে। একই ঘটনা ঘটবে স্পেনেও। চেক রিপাবলিকের রাজধানী প্রাগে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে ৩৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ শতাংশ নারী স্থূলতায় আক্রান্ত হবে।
২০৩০ সালকে মডেল ধরে প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ইউকে হেলথ ফোরাম।
এমনকি সুইডেন, যেখানকার মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য খ্যাতি রয়েছে, সেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি ৪ জনে ১ জন মোটা হয়ে পড়বে। ব্রিটেনে হবে প্রতি ৩ জনে ১ জন। তবে জার্মানির এ বিষয়ক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে ভালো খবরটা এসেছে নেদারল্যান্ডের কাছ থেকে। আগামী ১৫ বছরে মাত্র ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৯ শতাংশ নারী মোটা হয়ে যাবার শংকায় রয়েছে দেশটি।
স্থূলতা মানুষের আয়ু কমিয়ে দেয়। জীবনকে কষ্টকর করে তোলে, শরীরে নানাবিধ রোগের জন্ম দেয় যেমনঃ হৃদরোগ, ডায়বেটিস আর কিছু নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সার।