হুচেন মাছ বা দানিয়ুবের স্যালমন একসময় দানিয়ুব নদীতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত। কিন্তু নদীর গতিপথ পরিবর্তন আর বাঁধ নির্মাণের ফলে এই মাছ এখন হারিয়ে যাচ্ছে এর প্রাকৃতিক আবাসস্থল থেকে। নদীতে বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করার ফলে হুচেন মাছের সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে কমে গিয়েছে।
হুচেন মাছ নিয়ে গবেষণা করছেন স্টিভ উইস। তিনি কিছুদিন আগেই কয়েকটি হুচেন মাছ নদীতে ছেড়ে দেন গবেষণার পর। তিনি বলেন, মাছগুলোর বয়স ৩ বছর। কিন্তু তারপরও এরা অপ্রাপ্তবয়স্ক। এদেরকে আরও বড় হতে হবে (২৪ থেকে ২৭ ইঞ্চি)।
মিঠাপানির এই মাছ দানিয়ুব এবং এর শাখা-প্রশাখায় প্রচুর পরিমাণে দেখা যেত। ১৯ শতকের পর থেকে এদের সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশ কমে গিয়েছে। দানিয়ুব, বলকান, এবনফ এদের আশেপাশের নদীগুলোতে মোট ৯৩টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এগুলো নিশ্চিতভাবে হুচেন মাছের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলবে।
তবে জলবিদ্যুতের বাঁধ মাছের জন্য হুমকি বয়ে আনবে কিনা তা নিয়ে পরিবেশবিদ এবং বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অস্ট্রিয়ার হাইড্রোপাওয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান এরউইন মায়ের বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই অস্ট্রিয়াতে বেশ কিছু বাঁধ স্থাপন করেছি। এগুলো সেখানকার জীববৈচিত্রে কোন প্রভাব ফেলছে না। সেখানে মাছের সংখ্যার কোন পরিবর্তন ঘটেনি।
কিন্তু উইস এ মন্তব্যের সাথে একেবারেই একমত নন। তিনি বলেন, বাঁধ তৈরির ফলে মাছের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন জায়গায় অপ্রয়োজনীয় লেকের সৃষ্টি হয় যেগুলো হুচেন মাছে জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। উল্লেখ্য ২০০৮ সাল থেকে হুচেন মাছকে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।