আবারও ফিরে আসতে পারে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা পৃথিবীর সুপারসনিক বিমানের মধ্যে অন্যতম কনকর্ড সুপারসনিক জেট। দ্য ভার্জ নামক একটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে এমনটাই প্রকাশিত হয়েছে।
ক্লাব কনকর্ড নামের একটি দল যারা পূর্বে কনকর্ডের পাইলট এবং কর্মকর্তা ছিলেন মূলত তারাই এই বিমানকে নতুন করে আকাশে উড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন। তাদের এ উদ্যোগকে সফল করার জন্য আর্থিক এবং অন্যান্য সাহায্য সহযোগিতার ব্যাপারে ইতোমধ্যেই তারা বেশ অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছেন।
কনকর্ড নির্মাণ করে ফ্রান্সের এরোস্পেস কোম্পানি Aérospatiale and British Aircraft Corporation । ২৭ বছর বাণিজ্যিক সেবা দেয়ার পর ২০০৩ সালে বেশ কিছু কারণে এই সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে ২০০০ সালে এই বিমানের মারত্মক দুর্ঘটনা। এরপর থেকে কনকর্ডের কয়েকটি বিমান শুধুমাত্র প্রদর্শনীর জন্য ব্রিটেন এবং ফ্রান্সে রাখা আছে।
কনকর্ড ক্লাব প্রায় ১৬০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করে ফ্রান্সে অবস্থিত ২টি কনকর্ড বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম বিমানটি মূলত ব্যবহার করা হবে পর্যটকদের জন্য। লন্ডনের টেমস নদীর পাশে রাখা হবে এ বিমানটি যেটি মানুষ টিকেট কেটে দেখতে পারবে। এমনকি কনকর্ডে যেভাবে খাবার দেয়া হতো সে অনুসারে খাবার খাওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে এখানে।
তবে ২য় বিমানটি নিয়ে রয়েছে তাদের আরও বড় পরিকল্পনা। তারা চায় এ বিমানটি আবার আকাশে উড়ুক। কনকর্ড ক্লাব প্রেসিডেন্ট পল জেমসের লক্ষ্য ২০১৯ সাল নাগাদ আবার ফ্লাইট শুরু করবে কনকর্ড।
তবে কনকর্ডের বাণিজ্যিক সেবা পুনরায় চালু করার কোন পরিকল্পনা নেই ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ বা এয়ার ফ্রান্সের। তাই এই বিমানে চড়তে হলে ব্যক্তিগতভাবে গুনতে হবে অনেকগুলো টাকা, যদিও খরচের ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।
তবে কনকর্ড ছাড়াও বেশ কিছু সুপারসনিক জেট যাত্রী পরিবহনের কাজ শুরু করতে পারে এই দশকের শেষের দিকে।