সাইফন’স পানির পাম্প…!!
আমরা অনেক ধরনের পানির পাম্পের কথা জানলেও সাইফন’স পানির পাম্পের কথা আমরা খুব কম মানুষ ই জানি। আজ আমরা এই পানির পাম্পটি সম্পর্কে জানবো…:
আগেকার দিনে বড় বড় পাত্রে পানি জমা করে রাখা হতো, আবার অনেক দিন হয়ে গেলে পানির পাত্র বদল করা হতো। পাত্রের আকার যদি বড় হতো তাহলে পাত্রগুলো সরিয়ে নেয়া সম্ভব হতো না। একারণে পানি স্থানান্তরের জন্যে সহজ একটি কৌশল হিসেবে একটি বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা হতো, পরবর্তীতে বিজ্ঞানী প্যাসকেল এই পদ্ধতির কিছু নির্দিষ্ট সূত্র আবিস্কার করেন। মূলত এই পদ্ধতিটি সাইফন’স পানির পাম্পের অনুরূপ।
পাম্পটি যেভাবে তৈরী করবেঃ
যা যা লাগবেঃ
- ৩/৪ টি পাইপ, (জুসের বোতলের সাথে যে পাইপ বা স্ট্র দেয়া হয় ঐরকম ৩/৪ টি হলেই হবে)
- ১টি স্কচটেপ,
- ২টি পানির পাত্র বা গ্লাস, মাঝারি আকারের হলেই চলবে
- পানি
যা করতে হবেঃ
- প্রথমে ২/৩টি স্ট্র নিয়ে এদেরকে স্কচটেপের দ্বারা একসাথে যুক্ত করে এমনভাবে “U” আকৃতির করে নিতে হবে যেন একপাশে একটু বেশি লম্বা হয়
- এবারে পানির পাত্র বা গ্লাস ২টি পাশাপাশি রাখি, তবে পানিপূর্ণ পাত্রটি বা গ্লাসটি একটু উপরে রাখতে হবে
- এখন জোড়া দেয়া “U” আকৃতির পাইপটি নিয়ে ছোটো প্রান্তটি উপরের প্রান্তের পানিতে চুবাই
- এরপর অন্য প্রান্তটি মুখে লাগিয়ে সামান্য ফুঁ দেই
- অতঃপর মুখ থেকে সরিয়ে খুব তাড়াতাড়ি খালি পাত্রে এ প্রান্তটি রেখে দেয়া মাত্রই উপরের পাত্র থেকে পানি আসা শুরু হবে
- স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় উপরের পাত্রটি পানিশূন্য হওয়া পর্যন্ত নিচের পাত্রে পানি পড়তে থাকবে
কিভাবে কাজ করছেঃ
স্বাভাবিকভাবে মাধ্যাকর্ষণের কারণে পানি কিংবা যেকোনো পদার্থই সব সময় উপর থেকে নিচ দিকে ধাবিত হয়। তবে এই সাইফন পাম্পটির ক্ষেত্রে উপরের পাত্র থেকে নিচের পাত্রে পানি আসার জন্যে বাহ্যিক প্রভাবক হিসেবে বাতাসের চাপ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। নিচের প্রান্ত থেকে মুখ দিয়ে ফু দেয়ার কারণে উপরের প্রান্তে চাপ পড়ে, যা মুখ সরিয়ে নেয়ার পর নিচের দিকে ফাঁকা স্থানের সৃষ্টি করে, তখন নিচের ফাঁকা স্থানটি পূরণ করার জন্যে সাথে সাথে উপর দিক থেকে বাতাসের সাথে সাথে কিছু পানিও চলে আসে এবং একটি মোটরের ন্যায় পানির ধারা ক্রমাগত চলতে থাকে।
নিচের ভিডিওটি থেকে ভালোভাবে শিখে নিই কিভাবে একটি সাইফন’স পাম্প কাজ করেঃ