পৃথিবীর সবচাইতে বিপন্ন প্রজাতির চিতাবাঘগুলোর একটি প্রজাতিকে গত অাট বছর ধরে সংরক্ষণ করা হচ্ছিলো। এরই ফলশ্রুতিতে এই প্রজাতির চিতাবাঘের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
রাশিয়ার লেপার্ড ন্যাশনাল পার্কে ২০০৭ সালে আমুর লেপার্ড ছিল মাত্র ৩০টি। সে সংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭টিতে। শুধু তাই নয়, চীন সংলগ্ন এলাকায় ৮-১২টি মারাত্মক বিপদাপন্ন চিতাবাঘের সন্ধানও পাওয়া গিয়েছে সম্প্রতি।
যুক্তরাষ্ট্রের World Wildlife Fund-এর বার্নি লং বলেন, ‘আমুর লেপার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধির এ ঘটনা থেকে আমরা বলতে পারি যদি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয় তাহলে এদের বাঁচানো আসলেই সম্ভব। যদিও এদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এখনো অনেকটা পথ বাকি কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি যে আমরা সঠিক পথেই আগাচ্ছি’।
৯ লাখ একর অঞ্চল জুড়ে ক্যামেরা বসিয়ে প্রায় ১০ হাজার ছবি তোলা হয়েছে। সেসব ছবি দেখে WWF এবং Russian Academy of Sciences লেপার্ডদের গায়ের পশম এবং ডোরাকাটা ডাগ দেখে ৬০টি ভিন্ন চিতাবাঘের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন।
চোরাশিকারি, দাবানল আর বনজঙ্গল উজাড় করে ফেলার কারণে আমুর লেপার্ড প্রায় বিলুপ্তই হয়ে যাচ্ছিলো। যখন আর মাত্র ৪০টির মত লেপার্ড অবশিষ্ট ছিল তখনই আন্তর্জাতিকভাবে এদের সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়।
২০১২ সালে ৬ লাখ ৫০ হাজার একর জায়গা জুড়ে আমুর লেপার্ডদের অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হয়। এখানে তারা নির্বিঘ্নে বিচরণ এবং প্রজনন করতে পারে।
রাশিয়ার অনেক পূর্বে Lazovsky Nature Reserve অঞ্চলে থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে আমুর লেপার্ড বিলুপ্ত হয়ে যায়। সেখানে নতুন করে এই প্রজাতির চিতাবাঘ ছাড়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। একই সাথে ইউরোপ, আমেরিকা এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশের চিড়িয়াখানাগুলোতে এই বাঘ দেয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।