বিজ্ঞান মানেই যেন ম্যাজিক । বিজ্ঞানের এমন সব অবাক করা তথ্য আছে যা শুনলে মনে হয় সত্যি যেন ম্যাজিক।কিন্তু বিজ্ঞানের এই প্রতিটি ম্যাজিকের পিছনে থাকে মজার কিছু কৌশল।
বিজ্ঞানের অনেকগুলো ম্যাজিকের মধ্যে একটি ম্যাজিক হচ্ছে মাটির কলসিতে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পানি ঠাণ্ডা থাকা। প্রথমে শুনলে মনে হয় এটি কি করে সম্ভব ! আজব হলেও এই কথাটি কিন্তু সত্যি এবং এর পিছনেও আছে এক মজার কৌশল। কি এই কৌশল আজ জেনে নেওয়া যাক।
তাপ হচ্ছে এই ম্যাজিকের কৌশল। তাহলে প্রশ্ন আসে যে মাটির কলসির ভিতরে তাপের প্রয়োগ কিভাবে হয় ?
মাটির কলসিতে পানি ঠাণ্ডা হওয়ার কারণ বাষ্পীভবন ( Evaporation )। যখন কোন তরল পদার্থ বাষ্পীভূত হয় তখন তার উষ্ণতা হ্রাস পায়। বাষ্পীভবনের জন্য যে তাপের প্রয়োজন তা তরল পদার্থেই সরবরাহ করে থাকে। তাপ হারানোর কারণে তরল পদার্থের উষ্ণতা কমে যায়।
মাটির কলসি বানানোর সময় মাটির সঙ্গে খানিকটা বালি মেশানো হয় এবং মাটির কলসির গায়ে অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র থাকে। খালি চোখে এই ছিদ্রগুলি দেখা যায় না। ওই ছিদ্রগুলো দিয়ে পানি আস্তে আস্তে বাষ্পীভূত হতে থাকে। তারপর বাষ্প হয়ে উড়ে যেতে চায়।
বাষ্প হওয়ার জন্য পানির যে তাপের দরকার, তা মাটির কলসির ভেতরের পানি থেকে আসে। ফলে পানি থেকে ক্রমাগত তাপ বাষ্পাকারে বেরিয়ে যাবার কারণে মাটির কলসি ঠাণ্ডা থাকে। মাটির কলসির গায়ে হাত দিলেই এই ঠাণ্ডা ভাবটা অনুভব করা যায়।
অপরদিকে পিতলের কলসির গায়ে কোনো ছিদ্র থাকে না।এজন্য পানি বাষ্পীভূত হতে পারে না। এ কারণে পিতলের কলসির পানি মাটির কলসির মতো ঠাণ্ডা হয় না।
বিজ্ঞানের এইসব ছোট ছোট ম্যাজিকের আসলেই জুড়ি নেই। আজব কিন্তু মজার এই কৌশলকে আমরা বাস্তবেও প্রয়োগ করে দেখতে পারি। কারণ এইসব তথ্য জানতে পারা যতটা না আনন্দের, এর ব্যবহারিক প্রয়োগে তার চেয়েও বেশী সন্তুষ্টি লাভ করা যায়।