অস্ট্রেলিয়ার ‘সারপ্রাইজ ডোনেশন’

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গোটা বিশ্ব এখন হুমকির সম্মুখীন। তবে ধনী দেশগুলোর চাইতে দরিদ্র দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের এই বিরূপ প্রভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

ডিসেম্বরের ১-১২ তারিখ পর্যন্ত পেরুর রাজধানী লিমাতে হয়ে গেলো United Nations Climate Change Conference 2014 বা COP20। এই সম্মেলনে যেসব দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মুখে রয়েছে তাদের জন্য অর্থ তহবিল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ তহবিলে ১০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ধরে জাতিসংঘ। কিন্তু আদৌ এ পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করা যাবে কিনা তা নিয়ে যখন দেশগুলো সংশয়ে ভুগছিলো তখনই অস্ট্রেলিয়া তহবিলে ১৬৫ মিলিয়ন ডলার দান করে সবাইকে চমক দিয়েছে।

অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট পূর্বে এ তহবিলে টাকা দান করার ব্যাপারে একদমই অনিচ্ছুক ছিলেন। তাই হঠাৎ করে এতো টাকা গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে দান করায় সবাই রীতিমতো বিস্মিত।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডা এ তহবিলে অর্থ দান করলেও অস্ট্রেলিয়ার অর্থদানের তেমন কোন সম্ভাবনাই ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার এই ২০০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার (১৬৫ মিলিয়ন ইউএসডলার) ‘সারপ্রাইজ ডোনেশন’-এর ফলে এ তহবিল ১০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায়।

গত বুধবার এ সংবাদ সম্মেলনে টনি অ্যাবোট বলেন, “গত কয়েকমাসে পরিবেশগত দিক থেকে আমরা বেশ কিছু উন্নতি লক্ষ্য করেছি। আমরা মনে করি এ খাতে অর্থ দান করার এখন সঠিক সময়। যেকোনো সরকারেরই এ কাজটা করা উচিত ছিল।”

তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর কাঠামোগত উন্নয়ন, বনাঞ্চল ও শক্তি বৃদ্ধি এবং দূষণ রোধে এ অর্থ ব্যয় করার অনুরোধ জানান।

উল্লেখ্য জ্বালানি হিসেবে কয়লার ব্যবহার এবং মাত্র ২৩ মিলিয়ন জনসংখ্যা হওয়া সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের অন্যতম গ্রিন হাউস গ্যাস উৎপন্নকারী দেশ এবং এর আগ পর্যন্ত এ দূষণ রোধে অস্ট্রেলিয়া কোন রকম পদক্ষেপও নিতে দেখা যায়নি। 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন