আইএসের খিলাফতের শিশু

গত ৩ মাসে সিরিয়ার কমপক্ষে ৪০০ শিশুকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদেরকে তারা নাম দিয়েছে ‘খিলাফতের শিশু’। আইএসের মিলিটারি ট্রেনিংদাতা একটি দল গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছে।

The Syrian Observatory for Human Rights জানায়, যেসব শিশুদের নেয়া হয়েছে তারা সবাই ১৮ বছরের নিচে। আইএস জঙ্গিরা যেসব জায়গায় তাদের হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে এবং নিষ্ঠুর অত্যাচার চালিয়েছে সেসব এলাকার স্কুল, মসজিদ ইত্যাদি জায়গা থেকে এসব শিশুদের ধরা হয়েছে।

একজন ইসরাইলি আরবকে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে গুলি করে মারার একটি ভিডিওতে এমন একটি শিশুর দেখা পাওয়া গিয়েছে। ফ্রান্স পুলিশের একটি সূত্র জানায়, শিশুটি মোহাম্মদ মেরাহ’র ভাই যে কীনা তিনজন সেনাকে মেরেছে এবং ২০১২ সালে তিনটি ইহুদি শিশুকে হত্যা করেছে।

ব্রিটিশভিত্তিক অবজারভেটরির প্রধান রমি আব্দিল রহমান বলেন, ‘তারা শিশুদেরকে দলে নেয় কেননা তাদের মগজধোলাই করা খুব সহজ। এসব শিশুদেরকে তারা ইচ্ছেমত গড়ে তুলতে পারে। তারা শিশুদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং তাদের আইএস জঙ্গিতে পরিণত করে’।

ইসলামিক স্টেট গত বছর ইরাক এবং সিরিয়ার খলিফাতাবাদের সূচনা করে। আমেরিকার বিমান বাহিনী সেখানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

আবদুল রহমান বলেন, সম্ভবত তারা বাচ্চাদের দলে ভেড়াচ্ছে কেননা শুরু থেকে তারা প্রাপ্তবয়স্কদের পাচ্ছে না। এ বছর ১২০ জনের র‍্যাঙ্ক দেয়া হয়েছে ।

অবজারভেটরি জানায়, আইএস বাবা-মা’দেরকে উৎসাহিত করে তাদের বাচ্চাদেরকে আইএসের ট্রেনিং ক্যাম্পে পাঠানোর জন্য। তবে বেশিরভাগ সময় তারা বাবা-মার অনুমতি ছাড়াই বাচ্চাদের তুলে আনে। অনেক সময় এসব কাজে টাকার লোভও দেখানো হয়।

ট্রেনিং ক্যাম্পে বাচ্চাদেরকে কীভাবে সত্যিকারের অস্ত্র চালাতে হয় তা শেখানো হয়। প্রহরী এবং তথ্যদাতা হিসেবেও এরা বেশ ভালো কাজ করতে পারে বলে জানা গেছে।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন