জীবনে আনন্দ আসে বিভিন্ন আকৃতিতে, বিভিন্ন আকারে আর নানান রঙে, ক্যান্ডিও ঠিক তাই। মন ভাল করার জন্য অথবা ক্লান্তি দূর করতে ক্যান্ডিপ্রেমীদের কাছে একটি ক্যান্ডিই যথেষ্ট।
পাশ্চাত্যের ফাস্টফুডের উন্নত দেশগুলো হোক অথবা তৃতীয় বিশ্বের ভাত-মাছের দেশ ক্যান্ডি জনপ্রিয় সবখানেই। তবে আমেরিকানদের মাঝে বোধহয় একটু বেশিই জনপ্রিয় ক্যান্ডি। এ কারণে তারা প্রতিবছর ৪ নভেম্বরকে পালন করে 'ন্যাশনাল ক্যান্ডি ডে' হিসেবে।
এমনকি এ দিনটিকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবেই ছুটির দিন হিসেবে পালন করে থাকে। ১৩ শতকের শেষের দিকে ইংরেজি ক্যান্ডি শব্দটির প্রচলন ঘটে। ফ্রেঞ্চ শব্দ çucrecandi(sugar candy), অ্যারাবিক qandi ও পারসিয়ান qand(cane sugar)শব্দগুলো থেকে আসে ক্যান্ডি। প্রথমদিকে চিনি সহজলভ্য না হওয়ার কারণে ক্যান্ডি তৈরি করা হত মধু দিয়ে।
অবস্থাসম্পন্ন পরিবারগুলোতে চিনি ও মশলার তৈরি ওষুধের মত এক ধরণের ক্যান্ডি ব্যবহার করা হতো গলা ব্যাথা ও খাবার হজম হওয়ার জন্য।
১৮৪৭ সালে ক্যান্ডি প্রেসের আবিষ্কারের পর থেকে একই সাথে ভিন্ন ভিন্ন আকার ও আকৃতির অনেক ক্যান্ডি উৎপাদন করা সম্ভব হয়। ক্যান্ডি আবিষ্কারের পর প্রথমদিকে ক্রিস্টালাইজড সুগার থেকে তৈরি রক ক্যান্ডিই ছিল আভিজাত্যের প্রতীক।
মজার ব্যাপার হল, বিভিন্ন ধরণের ক্যান্ডির মধ্যে চকলেট ফ্লেভারটি একটু বেশি জনপ্রিয় হওয়ার কারণেই ‘চকোলেট ক্যান্ডি ডে’ নামে আলাদা একটি দিবসই পালন করা হয় ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ। আর সম্পূর্ণ জুন মাসকে ঘোষণা করা হয়েছে ক্যান্ডি মান্থ হিসেবে। আবার জুনের ১১ তারিখ পালন করা হয় কটন ক্যান্ডি ডে।
ললিপপ ডে পালন করা হয় জুলাই মাসের ২০ তারিখ। ক্যন্ডি ডে আসলে আমাদের জীবনে আসা বিভিন্ন ধরণের মানুষ ও তদের ফেলে যাওয়া ছাপগুলোরই প্রতিফলন।
কিছু ক্যান্ডির অদ্ভুত স্বাদ আমাদের মনে এক গভীর দাগ ফেলে যায় তাই বারবার আমরা সেই ক্যন্ডিগুলোই খাওয়ার জন্য খুঁজি। আবার কিছু ক্যান্ডি খাওয়ার সময় আমাদের মনে একটা সুন্দর অনুভূতি ফেলে যাবে আর কিছু ক্যন্ডি এতটাই দুষ্প্রাপ্য যে ওগুলো খুঁজে পাওয়া কষ্টকর।
আর আমাদের জীবনের বিভিন্ন বাঁকে আসা নানান রঙের মানুষও যে আমাদের উপর ঠিক ক্যান্ডির মত এরকম প্রভাবই ফেলে তা উপলব্ধি করানোই ক্যান্ডি ডের মুখ্য উদ্দেশ্য।