আফগানিস্তানে হ্রাস পেয়েছে পপি চাষ

গত ৬ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদনকারী পপি গাছের চাষ হ্রাস পেয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে জাতিসংঘ এবং আফগান সরকারের সম্মিলিত এক জরিপ। প্রায় ১ দশক ধরে দেশটিতে মাদকবিরোধী কার্যক্রম চালানোর পর এই ফলাফল দেখা গেলো।

যদিও বুধবার প্রকাশিত রিপোর্টটিতে বলা হয়, ১৯ শতাংশ পপি চাষের উৎপাদন কমে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে প্রতিকূল আবহাওয়া।

বার্ষিক এ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে পপি চাষ হয়েছিল ২ লাখ ২৪ হেক্টর জমিতে যা ২০১৫ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার হেক্টরে। প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদন কমেছে ৩৬ শতাংশ।

অভিযোগ রয়েছে, আফগানিস্তানে পপি চাষের মূল হোতা হচ্ছে তালিবান সৈন্যরা। পপি ফুল থেকে আফিম ও হেরোইন নামক মাদক তৈরি করা হয় যা পাচার করে তারা নিজেদের জঙ্গি কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ যোগাড় করে থাকে। আর ২০০১ সাল থেকে দেশটিতে মার্কিনী হামলা শুরু হবার পর থেকে এই উৎপাদন আরো বেড়ে গিয়েছে।

গত প্রায় ১০ বছর ধরে আফগানিস্তানে বিলিয়ন ডলার খরচ করে মাদকবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। পপি চাষের পরিবর্তে চাষিদের টাকা দিয়ে অন্যান্য ফসল যেমনঃ চাল, গম, ফলমূল এসব উৎপাদনে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে সবচেয়ে বেশি পপি চাষ হয়। প্রায় ৮৬ হাজার ৪০০ হেক্টরজুড়ে দেশটির ৪৭% পপি এখানেই উৎপাদিত হয়।

বেশিরভাগ পপি উৎপাদনকারী প্রদেশেই এর উৎপাদন কমেছে। এর মধ্যে উল্লেখযােগ্য নাঙ্গারহার, নিমরোজ আর কান্দাহারে। কিন্তু বাগদিস এবং উরুজগানে পপির চাষ বেড়েছে যথাক্রমে ১৭ এবং ২২ শতাংশ।

২০০৭ সালে পৃথিবীর ৯২ শতাংশ নন-ফার্মাসিউটিকালস-গ্রেড আফিম উৎপাদিত হয় আফগানিস্তানে। আফিমের পাশাপাশি গাঁজা উৎপাদনেও বিশ্বে শীর্ষে আফগানিস্তান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন