গেম বানিয়ে ধনী

লিথুনিয়ার লাইমোনাস মিলেস্কা ১৭ বছর বয়সেই উপার্জন করেছে ১ লাখ মার্কিন ডলার। অধিকাংশ মানুষের কাছে সে লোলেরিস নামেই পরিচিত।

লোলেরিস ছদ্মনামে গত ৫ বছর ধরে রোবলক্স নামের একটি ওয়েবসাইটে ভিডিও গেম তৈরি করে আসছে মিলেস্কা। আর এর মাধ্যমেই ১ লাখ ডলার আয় করেছে সে।

রোবলক্স একটি ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ যেখানে মানুষ গেম খেলতে পারে এবং অনলাইন থ্রিডি গেম তৈরি করতে পারে। রোবলক্সের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ডেভিড বাসজুকি জানান, প্রতি মাসে এই ওয়েবসাইটে ৪.৭ মিলিয়ন মানুষ আসে যারা অন্য ব্যবহারকারীদের তৈরি করা ভিডিও গেমগুলো খেলে।

তবে রোবলক্স এর গেম নির্মাতাদের সরাসরি টাকা দেয় না। এখানে ব্যবহারকারীদের অনলাইনে গেম কিনতে হয়। ভার্চুয়াল টাকা 'রোবাক্স' ব্যবহার করে কিনতে হয় এসব গেম। পরবর্তীতে গেম নির্মাতারা সত্যিকার টাকার সাথে এই রোবাক্স বিনিময় করে অর্থ উপার্জন করে পারে।

তবে ডেভিড বাসজুকি বলেন, সবাই মিলেস্কার মত এতো অর্থ আয় করতে পারেন না। এরকম বড়জোর দুই কি তিনজন আছে। এরা প্রতি মাসে ২০ হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারে যা বছর শেষে আড়াই লাখ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

মিলেস্কার তৈরি সবচাইতে জনপ্রিয় গেম হচ্ছে ‘ম্যাড পেইন্টবল’। এটি একটি শুটার গেম যেটি গত বছরের নভেম্বরে যাত্রা শুরু করে ইতোমধ্যেই ৫ মিলিয়ন বারের বেশি খেলা হয়েছে।

যেহেতু মিলেস্কা রোবলক্সে একজন প্রতিষ্ঠিত গেম ডেভলপার তাই তার নির্মিত গেমগুলো সেখানে সহজেই জনপ্রিয়তা পায়। তার নির্মিত প্রথম হিট গেমটি ছিল ‘ম্যাড ওয়ার্স ২’। ২০০৯ সালে এ মিলিটারি শুটার গেমটি নির্মাণ করে সে।

মিলেস্কা বলেন, ‘এখন আমি যেটাই তৈরি করি না কেন সেটা সবার নজরে পড়ে এবং কোনভাবে সেটা জনপ্রিয় হয়ে যায়’।

মিলেস্কা গত দুই বছর ধরে ম্যাড স্টুডিও নামের তার নিজের একটি গেম স্টুডিও চালাচ্ছে। তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে আরো অর্থ উপার্জন করে এই স্টুডিওটা বড় করা এবং আরো গেম ডেভলপার নিয়োগ দেয়া যাতে সে আরো দ্রুত গেম তৈরি করতে পারে।

তবে মিলেস্কাই একমাত্র ব্যক্তি নয় যে এধরণের মাধ্যম থেকে টাকা আয় করেছে। 'রবার্ট নে' নামে এক ১৪ বছর বয়সী বালক ২০১১ সালে ‘বাবল বল’ নামে একটা গেম তৈরি করেছিল যেটা দুই সপ্তাহে দুই মিলিয়ন বারের বেশি ডাউনলোড হয়েছিলো। শুধুমাত্র এই গেম থেকে সে সেইসময় ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছিল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন