আপনারা যদি ভালভাবে লক্ষ্য করেন তা হলে দেখবেন যে আপনাদের ডান পায়ের পাতাটি বাম পায়ের পাতা থেকে সামান্য বড়। ব্যাপারটি সম্পর্কে আপনাদের জানা আছে ? কেন এমন হয় আপনারা কি জানেন ?
আমাদের শরীরের গঠন বিন্যাস পরিপূর্ণভাবে প্রতিসম নয়। শরীরের বাম ও ডান পাশের মধ্যে সামান্য পরিমাণ অসমতা বিদ্যমান। ভালভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমাদের মুখমণ্ডলের ডান পাশটি বাম পাশ থেকে সামান্য পরিবর্ধিত। ডান পায়ের দৈর্ঘ্য বাম পায়ের দৈর্ঘ্য থেকে সামান্য বেশী। তেমনি করে ডান হাতটিও বাম হাত থেকে একটু বড়। কেমন জানি আজব লাগছে আপনাদের, তাই না ? আজব লাগলেও এটাই সত্য।
অভ্যন্তরীণ শারীরিক গঠন বিন্যাস সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই জন্য আমাদের হাড়ের গঠন বর্ধনও সামান্য অপ্রতিসম হয়। এই অপ্রতিসম বিকাশের কারণে আমাদের ডান পায়ের পাতা বাম পায়ের পাতা থেকে সামান্য বড় হয়।
শরীরের এই অপ্রতিসম গঠন আমাদেরকে নানা দিক দিয়ে প্রভাবিত করে। এই জন্য আমাদের যদি চোখ বেঁধে দিয়ে সোজা রাস্তায় হাঁটতে বলা হয় তাহলে আমরা সোজা যেতে পারবো না। শরীরের এই অপ্রতিসম গঠনের জন্য আমরা তখন বৃত্তাকার পথে চলতে শুরু করি।
একটা ব্যাপার লক্ষ্য করে দেখবেন যে, প্রত্যেক মানুষের ডান পায়ে জোর বেশি থাকে। আমরা ডান হাত দিয়েই বেশি কাজ করি। হৃৎপিন্ডের বেলাতেও তাই। এর ডান অংশ বাম অংশের চেয়ে অপেক্ষাকৃত উন্নত। আমরা যখন হাঁটি বা দৌড়াই, তখন ডান পায়ের উপরই বেশি নির্ভর করি। কেউ ইচ্ছা করলে ডানদিকে ঘুরতে পারে খুব দ্রুত, কিন্তু বামদিকে এতো দ্রুত ঘুরতে পারবে না, এটা তার কাছে উল্টো মনে হয়।
আমাদের শরীরের ডান পাশটি বাম পাশ থেকে বর্ধিত হবার মূল কারণ আমাদের শরীরের ডান দিক কার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বেশী সঞ্চালন করি বলে ডান পাশের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বেশী বর্ধিত। আমাদের মস্তিষ্কের বাম অংশ ডান অংশের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কার্যকে নিয়ন্ত্রন করে। তাই, মস্তিষ্কের বাম অংশ ডান অংশের থেকে বেশী উন্নত বা বিকাশ প্রাপ্ত।
ডান পাশের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বাম পাশ থেকে বর্ধিত হয় বলে ডান পায়ের পাতাটি বাম পায়ের পাতা থেকে সামান্য বড়।