দেশটি ছিল বাইসনদের

আমেরিকার বিস্তীর্ণ সমতলভূমি আর পশ্চিমাঞ্চলের একটি অন্যতম প্রতীক হচ্ছে আমেরিকান বাইসন। এদের কেউ কেউ বাফেলো বা মহিষও বলে থাকেন। বাইসন আকারে প্রকাণ্ড হয়ে থাকে আর পশমি হয়। উত্তর আমেরিকার স্থলের সবচেয়ে বড় জন্তু এই বাইসন।

তবে ভারী আকারের হলেও বাইসন খুব দ্রুতগামী। প্রয়োজনে এরা ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে পারে। আর এদের বাঁকানো, তীক্ষ্ণ বিশালাকার শিং ২ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।

সাধারণত স্ত্রী বাইসন এবং পুরুষ বাইসন আলাদাভাবে ছোটছোট পালে ঘুরে বেড়ায়। তবে গ্রীষ্মকালে এদের প্রজনন ঋতুতে একসাথে দেখা যায় এদেরকে। নয় মাস লাগে একটি মাদি বাইসনের শাবক জন্ম দিতে। কর্তৃত্ব দখলেই জন্য মদ্দা বাইসনদের মধ্যে লড়াইও হয়ে থাকে তবে তা খুব একটা ভয়ানক হয় না সাধারণত।

বাইসন একসময় উত্তর আমেরিকার গ্রেট প্লেইন অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত ছিল। ওই অঞ্চলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী ছিল এরা। কিন্তু ১৯ শতকে এই অঞ্চলে যারা বসবাস শুরু করেন তারা খাবার, লালন পালন এবং বিনোদন হিসেবে শিকার করে প্রায় ৫০ মিলিয়ন বাইসন হত্যা করে।

তবে বাইসন হত্যার আরেকটি বড় কারণ ছিল যেন এখানকার আদি অধিবাসীরা অর্থাৎ রেড ইন্ডিয়ানরা যাতে তাদের নিজেদের প্রয়োজনে আর বাইসন ব্যবহার করতে না পারে।

এক সময়কার বিপুল সংখ্যক এই জন্তুর সংখ্যা এখন খুবই কমে গিয়েছে। বর্তমানে মাত্র ২ লাখের মত বাইসন জীবিত রয়েছে যেগুলোর বেশিরভাগই সংরক্ষিত অবস্থায় বা খামারে লালন পালন করা হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন