পোলিওমুক্ত বিশ্ব গড়তে বাকি মাত্র ২

মাত্র ২টি দেশ বাদে পৃথিবীর বাকি সব দেশ এখন পোলিওর ভয়াবহ ছোবল থেকে মুক্ত। কিন্তু আশঙ্কার ব্যাপার হচ্ছে, যেসব দেশ থেকে পোলিও সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয়েছিল তার কিছু কিছু দেশে পোলিও পরবর্তী কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

যদিও পোলিও দ্বারা সব বয়সের মানুষই আক্রান্ত হতে পারে তবে শিশুরা এই রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয় সবচেয়ে বেশি। ১৯৬০ সালের দিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে যেখানে আক্রান্তদের বেশিরভাগই ছিল ৫ বছর বয়সের নিচের শিশু। ১৯৬২ সালে জার্মানি পোলিওর প্রতিষেধক দেয়া শুরু করে যার ফলে দেশটি আজ সম্পূর্ণ পোলিওমুক্ত।

পোলিও কীভাবে ছড়ায়?
পোলিও রোগ ছড়ায় পোলিও ভাইরাসের মাধ্যমে। খাবার বা পানির দ্বারা বাহিত হয়ে এই ভাইরাস মানুষের মুখ দিয়ে পাকস্থলীতে প্রবেশ করে। সেখান থেকে আমাদের রক্তনালী এবং স্নায়ুকোষে ছড়িয়ে পড়ে মানুষকে আক্রান্ত করে। এই ভাইরাস এতোটাই সংক্রামক যে সামান্য পরিমাণ লালা থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে।

কোন কোন দেশ আক্রান্ত?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৮ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বকে পোলিওমুক্ত করার কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। শুধুমাত্র আফগানিস্তান ও পাকিস্তানেই এখনো এই রোগ বিদ্যমান রয়েছে। দেশ দুটিতে কোন ভ্যাকসিনেসন প্রোগ্রাম চালানো সম্ভব না হওয়ায় এই রোগ এখনো দূরীভূত হয়নি।

১৯৯৪ সালে সম্পূর্ণ আমেরিকা মহাদেশ পোলিওমুক্ত হয়। ২০০০ এবং ২০০২ সালে যথাক্রমে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও ইউরোপ পোলিওমুক্ত হিসেবে ঘোষিত হয়। বাংলাদেশে যদিও ২০০৭ সালের পর কোন পোলিও রোগী পাওয়া যায়নি কিন্তু ২০১৪ সালে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এগারোটি দেশকে পোলিও মুক্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন