প্যারিস জলবায়ু চুক্তি দেখাচ্ছে নতুন আশা

এপ্রিলের ২২ তারিখ নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ১৬০টি দেশের নেতারা একত্রিত হয়েছিলেন। অল্প কিছুদিন আগেই প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে গৃহীত ‘প্যারিস জলবায়ু সম্মতিপত্রে’ স্বাক্ষর করার জন্যই ছিল এ জমায়েত উৎসব। আর এ চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে আমাদের পৃথিবী দেখছে বেঁচে থাকার নতুন আশা। তবে কাগজে কলমে এ চুক্তি সম্পাদিত হলেও, এটি বাস্তবায়ন করতে এখনো অনেকটা পথ যেতে হবে।

 

২২ তারিখ বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে স্বাক্ষরিত হয় এ ঐতিহাসিক চুক্তি। বহুদিন ধরে রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীরা যে চুক্তির বিরোধিতা করে আসছিল সেটাতেই সবাই সম্মত হল একইসাথে। নতুন এই চুক্তি অনুযায়ী একুশ শতকে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি বা তার কমের মধ্যে রাখা হবে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওলাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশ্বনেতারা ছাড়াও অনেক ব্যবসায়ী এমনকি নামীদামী তারকারাও উপস্থিত হয়েছিলেন এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে।

তবে সবচেয়ে ভালো বিষয়টি হচ্ছে বিশ্বের সব বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও সম্মত হয়েছে এই চুক্তিতে যাদের ভেটোর কারণেই অনেকটা আটকে ছিল এ ধরণের চুক্তির বাস্তবায়ন।

রকফেলার কোম্পানির প্রেসিডেন্ট স্টেফেন হেইন্টজ বলেন, ‘আমরা যতটা সম্ভব জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার থেকে সরে আসছি। বিশ্বকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এখন থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানীই হবে আমাদের শক্তির প্রধান উৎস। আর এটা বাস্তবায়নে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেয়াও শুরু করেছি’।

মানব সভ্যতার মাইলফলক এই চুক্তি সম্পাদিত হলেও জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলছেন যে আমাদের আরও অনেকটা পথ যেতে হবে। বিশেষ করে শিল্পোন্নত দেশগুলোকে এ চুক্তির বাস্তবায়নের স্বার্থে কার্বন নিঃসরণ সর্বোচ্চ পরিমাণে হ্রাস করতে হবে। আর এটা সম্ভব হলে দ্বীপ এবং সমুদ্র তীরবর্তী দেশগুলো সবচাইতে বেশি উপকৃত হবে যাদের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। ২০২০ সাল নাগাদ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলারের সাহায্য তহবিল করার চেষ্টা করছে জাতিসংঘ যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন