মরুভূমি শব্দটা শুনলেই আমাদের চোখের সামনে বালুময় জনমানবহীন এক বিস্তীর্ণ প্রান্তরের ছবি ভেসে উঠে। মরুভূমি কিন্তু শুধু বালুময় নয়, হতে পারে বরফে ভরা, পাথর বা নুড়ি পাথরে ভরা বিস্তীর্ণ কোন এক এলাকা।
মরুভূমির পরিবেশ দিনে সাধারণত গরম এবং শুষ্ক থাকে। তবে ঠাণ্ডা, রুক্ষ আর লবণাক্ত কোন বিশালাকার এলাকাকেও মরুভূমিই বলা হয়ে থাকে। মরুভূমির এতো রকমভেদ থাকলেও সব মরুভূমির ক্ষেত্রেই জিনিস একই, সেটি হচ্ছে মরুভূমিতে প্রাণী বা উদ্ভিদের বেঁচে থাকাটা খুবই কষ্টের।
কিন্তু তারপরও এখানে বৈচিত্র্যময় এক জীববৈচিত্র্য গড়ে উঠে যেখানে গিরগিটি থেকে শুরু করে মানুষ, গাছপালা সবই থাকে।
মূলত ৫ শতাংশের কম জীববৈচিত্র্য কোন অঞ্চলে থাকলে তাকে মরুভূমি বলা হয়। সে হিসেবে মরুভূমির মধ্যে পড়ে আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি, এন্টার্টিকার বিস্তীর্ণ বরফঅঞ্চল আর বলিভিয়ার সালার দে উয়ুনি, যেটা কিনা পৃথিবীর বৃহত্তম লবণ মরুভূমি।
যদিও ধারণা করা হয়ে থাকে মরুভূমিতে প্রাণ থাকে কম তবে সত্যিকার অর্থে এ রুক্ষ অঞ্চলেও এক অন্যরকম জীববৈচিত্র্য গড়ে উঠে। পৃথিবীর প্রায় ৩০ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার অঞ্চল মরুভূমি, যেখানে অসংখ্য প্রাণী ঘুরে বেড়ায় আর বেঁচে থাকে। কিছু কিছু মরুভূমিতে গাছ জন্মায়, মরূদ্যান গড়ে উঠে।
আবার অনেক মরুভূমিতে মানুষ ঘরবাড়ি বানিয়েছে, এমনকি লোকালয়ও গড়ে তুলেছে। মরুভূমিতে ঘুরলে দেখা মিলবে গিরগিটি, সাপ, উট, হাতি, মাছ, গাধা আর মানুষের। এদের কাছে মরুভূমি কোন রুক্ষ বা কর্কশ জায়গা নয়, বরং এটা তাদের আবাসস্থল।