ম্যানহাটন : ক্রিকেটে ওভার প্রতি রানের হিসাব

শুরু হয়ে গেছে ২০১৫ বিশ্বকাপ ক্রিকেট, আর এই জমকালো খেলার আসর নিয়ে ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে উন্মাদনার শেষ নেই। যার যার প্রিয় দল নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছেই। এর পাশাপাশি আমরা দিয়ে যাচ্ছি ক্রিকেট সম্পর্কীয় কিছু মজার সাধারণ তথ্য।

ম্যানহাটন ( Manhattan ) মূলত যুক্তরাষ্ট্রের একটি শহরের নাম। তবে ক্রিকেট খেলার সাথে এর সম্পর্ক কিছুটা হাস্যকর। 

ম্যানহাটন শহর নিউইয়র্কের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর। এ শহরে ছোট-বড় অনেকগুলো বিল্ডিং রয়েছে। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা বিল্ডিংগুলো দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেনো অনেকগুলো ছোট-বড় লাঠি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে। 

ম্যানহাটনই মূলত নিউ ইয়র্ক শহরের প্রাণ। এখানেই এর বিখ্যাত সব গগনচুম্বী দালানের অধিকাংশ অবস্থিত যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে এম্পায়ার স্টেট দালান , ক্রিস্‌লার দালান এবং সিটিকর্প সেন্টার । ১০১ তলা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দালান যুগল এই শহরেই অবস্থিত ছিল। নিউ ইয়র্কের নগরায়িত অঞ্চলের মধ্যে এটিই সবচেয়ে প্রাচীন, ঘন এবং সুগঠিত। 

চলো এবার জানা যাক এই ম্যানহাটন শহর কিভাবে ক্রিকেটের সাথে সম্পর্কিত।   

আমরা ক্রিকেট খেলার সময় প্রতি ওভারের রান-রেটের একটি হিসাব দেখি।

যেমন, প্রথম ওভারে ৪ রান হলো, পরের ওভারে ৭, আবার পরের ওভারে ১রান। আমরা যদি কোনো গ্রাফে এটি দেখাতে যাই, তাহলে তা পাশাপাশি রাখা ছোট-বড় কয়েকটি লাঠির মতই দেখা যাবে।

আর একারণেই রান-রেটের হিসেব করা এই গ্রাফটিকে ক্রিকেটের Manhattan বলা হয়। রান-রেটের হিসেব করা এই গ্রাফটি দেখতে ম্যানহাটন শহরের গগনচুম্বী অট্টালিকার মতো বলে এই গ্রাফটির নাম ম্যানহাটন।  

প্রতি ওভারের রান দেখানোর পাশাপাশি যে যে ওভারে কোনো ব্যাটসম্যান আউট হয়, সে ওভারগুলোর স্তম্ভের একদম মাথায় কিংবা নিচে প্রতি উইকেটের জন্যে ১টি করে ক্ষুদ্র বৃত্ত চিহ্নিত থাকে।

উপরের গ্রাফটি শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডের ম্যাচের। এই গ্রাফের X অক্ষে ওভার আর Y অক্ষে ওভার প্রতি রান নির্দেশ করছে। গ্রাফের নীল লাইন দ্বারা ইংল্যান্ড ও লাল লাইন দ্বারা শ্রীলঙ্কার রানরেট বোঝানো হচ্ছে। এই গ্রাফে আমরা দেখতে পাচ্ছি শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ড ইনিংসের ( ১-২৫ ওভার ) প্রথম দিকে উভয় দলের রান তোলার গতি বা রানরেট ছিল প্রায় সমান। যদিও ইংল্যান্ড প্রথম ২৫ ওভারে হারিয়েছে ৩ উইকেট ও শ্রীলঙ্কা হারিয়েছে ১ উইকেট। আবার ২৫-৪০ ওভারের সময় শ্রীলঙ্কার রান তোলার গতি বা  রানরেট ইংল্যান্ডের চেয়ে বেশী ছিল। ইনিংসের শেষ ১০ ওভারেও শ্রীলঙ্কা ইংল্যান্ডের চেয়ে বেশী রান করেছে। তাই, শ্রীলঙ্কার গ্রাফটি গগনচুম্বী শেষ দশ ওভারে। আবার ইংল্যান্ড শেষ ওভারে রান তোলার গতি মোটামুটি থাকলেও তারা হারিয়েছে ২ উইকেট ।       

Manhattan গ্রাফটি ক্রিকেটে স্কাই-লাইন নামেও পরিচিত। 

এই গ্রাফের সাহায্যে আমরা সহজেই বুঝতে পারি কোন ওভারে কত রান এসেছে বা কোন ওভারে উইকেট গিয়েছে। এছাড়া, ব্যাটসম্যান বা বোলিং দলের সার্বিক পরিস্থিতি বুঝা যায় গ্রাফটির মাধ্যমে। 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন