শুভ বড়দিন

 

শুভ বড়দিন

“বড়দিন প্রভু যীশুর জন্মদিন, মহা মানবের জন্মদিন, আমাদের সকল খ্রিস্টভক্তদের খুশীর ও সুখের দিন। ঈশ্বর এই দিনে তার একমাত্র পুত্রকে মানবজাতির কল্যাণের জন্য পৃথিবীতে পাঠালেন। যীশু জন্ম নিলেন একজন মানুষ হিসেবে, সে হিন্দু বা মুসলমান হয়ে জন্মান নি, তিনি কখনো বলেন নি যে তিনি খ্রিষ্টান। তিনি মানুষ হিসেবে জন্মালেন। যীশুখ্রিষ্ট সকলের হয়ে মানবজাতিকে রক্ষা করতে এসেছেন।

সৈনিক সাধু মার্টিন ২৫ ডিসেম্বর তার সৈনিকের পোশাক পড়ে যীশুর জন্মদিন পালনের জন্য গির্জায় যাওয়ার পথে দেখলেন একজন গরিব লোক অনেক শীতে কষ্ট পাচ্ছেন। তখন তিনি তলোয়ার দিয়ে তার পোশাকের অর্ধেক কেটে গরিব লোকটির গায়ে পেঁচিয়ে দিলেন। সাধু মার্টিন ঘরে ফিরে রাতে স্বপ্নে দেখলেন যে ছোট্ট শিশু যীশু তার কাপড়টি পড়ে আছেন। যীশু তখন তাকে বললেন, ‘তুমি যাকে শীত থেকে বাঁচাতে বস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছ, সেই মানুষটি আমি ছিলাম’। এভাবেই বড়দিন আমাদেরকে অন্যদের সেবা করার শিক্ষা দেয়। আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে নিমজ্জিত করতে হবে, বিশেষভাবে সুবিধাবঞ্চিতদের, গরিবদের সেবা করতে হবে তবেই আমাদের জীবনে বড়দিন সার্থক হবে। আমরা সবাই যেন সুখে শান্তিতে বড়দিন পালন করতে পারি এবং আমাদের মধ্যে যেন মিলন ও সেবা করার স্পৃহা অব্যাহত থাকে এই কামনায় সবাইকে বড়দিনের ও নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।”

ফাদার এলবার্ট থমাস রোযারিয়ো

পালক পুরোহিত

তেজগাঁও জপমালারানী গির্জা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন