 “হো হোহ্ হোহ্ হোওও’’– এমনই আজব বিকট শব্দ করে হেসে বড়দিনের আগের রাত অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর রাতে উপহারের মস্ত বড় বস্তা নিয়ে পৌঁছায় খ্রিস্ট-ধর্মাবলম্বী শিশুদের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু স্যান্টা ক্লস (santa claus)। তাদের মাঝে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ আর পছন্দের উপহার।
“হো হোহ্ হোহ্ হোওও’’– এমনই আজব বিকট শব্দ করে হেসে বড়দিনের আগের রাত অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর রাতে উপহারের মস্ত বড় বস্তা নিয়ে পৌঁছায় খ্রিস্ট-ধর্মাবলম্বী শিশুদের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু স্যান্টা ক্লস (santa claus)। তাদের মাঝে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ আর পছন্দের উপহার।
কিন্তু স্যান্টাক্লস কিভাবে জেনে যায় তাদের পছন্দের উপহার কী?
প্রচলিত রয়েছে, স্যান্টা তার কাজ শুরু করে দেয় ক্রিসমাস আসার ২০ দিন আগে থেকেই। স্যান্টার কাজ শুরু হয় উপহার তালিকা বা লিস্ট তৈরির মধ্য দিয়ে। আর তাই ক্রিসমাস উদযাপন শুরু হয়ে যায় ডিসেম্বরের ৪ তারিখ থেকেই।
এদিন পালন করা করা হয় ‘স্যান্টাস লিস্ট ডে’। এটা সেই দিবস যেদিন স্যান্টা ক্লস তৈরি করেন দু’টি লিস্ট- সারা পৃথিবীর শিশুদের আচরণের ওপর ভিত্তি করে দুটি তালিকা হয়। একটি ভাল বাচ্চাদের আরেকটি দুষ্ট বাচ্চাদের।
ভাল লিস্টের অধিকারীরা পায় তাদের পছন্দের খেলনা কিংবা চকলেট। আর মাঝে মাঝে দুষ্ট বাচ্চাদের উপহারের বদলে দেয়া হয়ে থাকে কয়লা অথবা লাঠি।
বিশ দশকের দিকে মুক্তি পাওয়া একটি গান ‘স্যান্টা ক্লস ইজ কামিং টু টাউন’ থেকে এই ধারণার উদ্ভব বলেই অনেকের মত। গানের কথাতেই আছে- হিজ মেকিং আ লিস্ট/ অ্যান্ড চেকিং ইট টোয়াইস/ গনা ফাইন্ড আউট হুজ নটি অর নাইস/ স্যান্টা ক্লস ইজ কামিং টু টাউন।
আবার অনেকের মতে এদিন শিশুরা তাদের চাওয়া উপহারের লিস্টটি পাঠায় স্যান্টার কাছে। অবশ্য এ ধারণা মাথায় রেখেই পালিত হয় এ দিবসটি। তবে কারণ যেটাই হোক ‘স্যান্টাস লিস্ট ডে’ কিন্তু জাতীয় দিবস হিসেবেই পরিচিত আমেরিকাতে।
সারা বিশ্বে বড়দিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বরই মূলত শিশুদের উপহার দেবার প্রচলন থাকলেও কিছু কিছু ইউরোপিয়ান দেশে ডিসেম্বরের ৬ তারিখেই শিশুদের উপহার দেবার রীতি পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, ডিসেম্বরের ৬ তারিখ সেইন্ট নিকোলাস ডে। এই সেইন্ট নিকোলাসকেই কিন্তু আদর করে ডাকা হয় স্যান্টা ক্লস।
