বাচ্চারা সারাদিন ছুটোছুটি আর দুষ্টুমি করতেই ভালোবাসে। আর তাই তাদের শারীরিক গঠনের জন্য পুষ্টিকর খাবার খুবই দরকারী। শরীরের হাড় ও মাংশপেশীর গঠনের জন্য ক্যালসিয়াম ও মিনারেলযুক্ত খাবার প্রয়োজন। কিন্তু শারীরিক গঠনের পাশাপাশি বাচ্চাদের মানসিক, অর্থাৎ মস্তিষ্কের সঠিক গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলে গেলেই দেখা যাবে যে কোন বাচ্চা হয়তো পড়াশোনায় খুব মনোযোগী, আবার কোন বাচ্চা একেবারেই নয়। আসলে সব বাচ্চার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা এক রকম থাকে না। তাই মস্তিষ্কের সঠিক গঠনের জন্যও বাচ্চাদের আলাদা কিছু খাবার দিতে হবে।
১। ডিম
ডিম শরীরের জন্য বেশ উপকারী একটি খাবার। এর পুষ্টিগুণ মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য বেশ সহায়ক। ডিমে অবস্থিত প্রোটিন, ওমেগা ৩, এবং জিংক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং মস্তিষ্ক হতে ক্ষতিকারক পদার্থ দূর করে। সিদ্ধ, আধা-সিদ্ধ, পোচ, বা অমলেট যেকোনোভাবেই হোক, ডিম মানেই মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।
২। পুঁইশাক
শাকের মধ্যে পুঁইশাক বেশ পুষ্টিকর এবং এতে মস্তিষ্কের উপকারী উপাদানের পাশাপাশি প্রচুর ভিটামিনও আছে। শরীরের উপকারের সাথে মস্তিষ্কের সঠিকহারে গঠনের জন্য এই সবজিটি খুব দরকারী।
৩। পানি
পানি যদিও “খাবার”-এর তালিকায় পড়ে না, তবুও বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য সঠিক মাত্রায় পানি পান করা খুবই দরকার। শরীরে পানির অভাব হলে তা মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব ফেলে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়।
৪। খাদ্যশস্য
খাদ্যশস্য বলতে ধান, গম, ভুট্টা, যব ইত্যাদিকে বোঝানো হয়। এসব খাদ্যে ভিটামিন বি১২ থাকে যা মস্তিষ্কের জন্য দরকারী। শারীরিক ও মানসিক গঠনের জন্য এই খাদ্যশস্যগুলোর পুষ্টি উপাদান প্রয়োজনীয়।
৫। জামজাতীয় ফল
মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশের জন্য ফল একটি উপকারী খাবার। তার মধ্যেও জামজাতীয় কিছু ফল যেমন, কালোজাম, স্ট্রবেরি মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। বিশেষ করে স্মৃতিশক্তির বিকাশে এগুলো প্রয়োজনীয়।
৬। বাদাম এবং বীজজাতীয় খাদ্য
এজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং ওমেগা ৩ থাকে। নাস্তা হিসাবে এই খাবারগুলো বেশ মুখরোচক এবং সেই সাথে শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও উপকারী।
৭। ওটমিল
ওটমিল আমাদের দেশে উৎপাদিত না হলেও ইদানীং প্রচুর পরিমাণে আমদানি করা হচ্ছে এবং যেকোনো সুপার শপেই ওটমিল কিনতে পাওয়া যায়। এতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট থাকে যা ধীরে ধীরে গ্লুকোজ নিঃসরণ করে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
৮। মাছ
মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য যেসব খাদ্য দরকার, তার মধ্যে মাছে পুষ্টি উপাদান সবচেয়ে বেশী। বিশেষ করে ছোট মাছে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে যা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। মাছে অবস্থিত প্রোটিন ও ওমেগা ৩ মস্তিষ্কের সঠিক গঠন নিশ্চিত করে এবং শারীরিক কার্যক্ষমতা বাড়ায়।