২০৫০ সালের মধ্যে শুকিয়ে যেতে পারে জর্ডানে অবস্থিত ডেড সি বা মৃত সাগর। বিভিন্ন কারণে অত্যন্ত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ একটি সাগর এই 'ডেড সি'। তাই একে বাঁচাতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে জর্ডান সরকার।
ইতোমধ্যেই ইসরায়েল এবং জর্ডানের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইসরাইলের রেড সি থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি নেয়া হবে ডেড সিতে। কিন্তু এতে ডেড সি’র অবস্থা ভালো না হয়ে খারাপের দিকেও যেতে পারে।
এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল। প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল এবং জর্ডান আলোচনার পর অবশেষে তারা ১৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইন নির্মাণের ব্যাপারে সম্মত হয়।
লাইনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করা হবে ডেড সি’তে। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে এই সাগর থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ পানি বাষ্পীভূত হয়ে যায়। কিন্তু সে পরিমাণে পানি আবার এখানে ফিরে আসে না। পানি বাষ্পীভূত হয়ে যাওয়ার ফলে লবণ পড়ে থাকে এখানে। যে কারণে এই সাগরের লবণাক্ততার পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবছর ১ মিটার হারে পানির উচ্চতা কমছে এই তথাকথিত মৃত সাগরে। এভাবে চললে ২০৫০ সাল নাগাদ এই সাগরে আর কোন পানি থাকবে না।
ডেড সি পৃথিবীর যে কোনো সাগরের চাইতে দশগুণ বেশি লবণাক্ত। এই সাগরের একমাত্র পানির উৎস হচ্ছে জর্ডান নদী। কিন্তু ১৯৬০ সালের পর থেকে সিরিয়া, ইসরাইল এবং জর্ডান এই নদীর পানি দিয়ে সেচকাজ শুরু করে।
ফলে নদীর ৯০ শতাংশ পানিই ডেড সি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। জর্ডানের ২৯ শতাংশ অঞ্চলই মরুভূমি হওয়ায় সেচকাজের জন্য জর্ডান নদীর পানির ওপর নির্ভর করতে হয়।
পানির এই সমস্যা দূর করতেই ইসরায়েল, জর্ডান এবং বিশ্বব্যাংক ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে এই পাইপলাইনটি তৈরি করছে। জর্ডানের পানিমন্ত্রী হাজেম নাসের জানিয়েছেন, ৩০০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি প্রতিবছর এই পাইপের মধ্য দিয়ে রেড সি থেকে ডেড সি’তে যাবে।