জিকা ভাইরাসের বিস্তার এবং এই ভাইরাসের আক্রমণের ফলে সৃষ্ট মাইক্রফেলি রোগের কারণে সারা বিশ্বে জরুরী স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও (who)।
সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি জরুরী সভার পর এই ঘোষণা দেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে জিকা ভাইরাসের বিস্তার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় তারা এরকম জরুরী স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন’।
মাইক্রোফেলি এমন একটি অসুখ যার ফলে সদ্যজাত শিশুরা অস্বাভাবিক ছোট মাথা নিয়ে জন্মলাভ করে। যদিও জিকা ভাইরাস এবং মাইক্রোফেলির মধ্যে ঠিক কি সংযোগ রয়েছে তা এখনো বের করতে পারেনি বিশেষজ্ঞরা তবে তারা ধারণা করছেন গর্ভবতী নারীরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাদের বাচ্চারা মাক্রোফেলিতে আক্রান্ত হয়।
এই বছরেই শুধুমাত্র আমেরিকাতেই প্রায় ৪০ লাখ মানুষ জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে বলে আশংকা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে এ ভাইরাসের কোন প্রতিরোধ বা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থার ব্যাপারে কিছু বলেনি সংস্থাটি।
মূলত এডিস মশার দ্বারা এই ভাইরাস ছড়ায় বলে ব্যাপক হারে মশা নিধনে কাজ করছে হু। সংস্থাটি গর্ভবতী নারীদেরকে জিকা ভাইরাস আক্রান্ত অঞ্চলে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন এবং তাদেরকে মশা থেকে দূরে থাকতে বলেছেন।
২০১৪ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়লে সেসময়ও এরকম স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর ফলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছিল।
১৯৪৭ সালে উগান্ডার একটি জঙ্গলে পীতজ্বর নিয়ে গবেষনা চলাকালে দুর্ঘটনাবশত বানরের দেহে প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় জিকা ভাইরাসের। তবে এবারের মতো কখনোই এই রোগ মহামারী আকারে দেখা দেয়নি। এডিস এজিপ্টি নামক মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এই একই মশার কামড়ে মানুষ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকে।