হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়ছেন। আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ সবার পছন্দের চকলেটের অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে! সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই আশঙ্কা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির এই বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বের উষ্ণায়ন এবং ক্রমেই বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কমতে থাকায় চকলেট তৈরির প্রধান উপাদান কোকো গাছ বিপন্ন হতে যাচ্ছে। আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ কোকো তৈরির প্রধান স্থানগুলো এই গাছ বেড়ে উঠার উপযোগিতা হারাবে।
কোকো গাছ বেড়ে উঠতে সারা বছর প্রায় একই ধরণের তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বিষুবরেখার ২০ ডিগ্রি উত্তর ও দক্ষিণের একটি ছোট্ট জায়গা এই কোকো তৈরির প্লান্ট হিসেবে উপযোগি রয়েছে।
বিশ্বের প্রায় অর্ধেক চকলেট আসে পশ্চিম আফ্রিকা, আইভোরি কোস্ট ও ঘানা থেকে। এই জায়গাগুলো আগামী ৩০ বছরের মধ্যে কোকো গাছ উৎপাদনের উপযোগি থাকবে না। এছাড়া দরিদ্র খামারিরা মূলত কেকো বীজ উৎপাদন করে, তারা খামারে প্রয়োজনীয় সার বা কীটনাশক ব্যবহার করতে পারে না।
উপরের বিষয়গুলো বিবেচনায় ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা চকলেট প্রস্তুতকারক কোম্পানি মার্সের সাথে মিলে জিন-এডিটিং প্রযুক্তি ‘সিআরআইএসপিআর’ ব্যবহার করে কোকো গাছকে পরিবেশ সহশীল করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এজন্য এক বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে মার্স।
সূত্র : এনডিটিভি