অনলাইন এডুকেশন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়দের ক্ষেত্রেই ভোগান্তি কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। সম্প্রতি বেইজিং নরমাল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় ফলাফলে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
বেইজিং নরমাল ইউনিভার্সিটি ও শীর্ষস্থানীয় অনলাইন এডুকেশন প্লাটফর্ম জোয়েব্যাংয়ের যৌথ এই গবেষণায় দেখা যায়, জরিপে অংশ নেয়া ৫৫.৮ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করে অনলাইন এডুকেশন প্লাটফর্ম তাদের সময় বাঁচিয়ে পড়াশোনার মানকে আরও উন্নত করে।
৬৫ শতাংশের অধিক শিক্ষার্থীরা জানায়, অনলাইন প্লাটফর্ম তাদের মানসিক বিষন্নতা দূর করে এবং ৫৮.২ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করে অনলাইনে পড়াশোনা তাদের শেখার আগ্রহকে বাড়িয়ে দেয়।
বেইজিং নরমাল ইউনিভার্সিটির নিউ মিডিয়া কমিউনিকেশনের হেড অব রিসার্চ সেন্টার ঝ্যাং হংঝং বলেন, অনলাইন এডুকেশন প্লাটফর্ম লেখাপড়ার ক্ষেত্রে ভোগান্তি কমিয়ে এবং মান উন্নত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পার্সোনালাইজড এডুকেশন সম্ভব হচ্ছে।
এছাড়া অনলাইন এডুকেশনের মাধ্যমে সবার জন্য সমান শিক্ষার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখন শহরের শিক্ষার্থীরা যা শিখতে পারছে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও সেটি শিখতে পারছে। এছাড়া অফলাইন এডুকেশনের খরচের তুলনায় অনলাইন এডুকেশনের খরচ মাত্র ৩০ থেকে ৫০ ভাগ।
এছাড়া অনলাইন শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা জনপ্রিয় ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের কাছ থেকে দূরে বসেও শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে। জোয়েব্যাংয়ের ব্যবহারকারীদের তথ্যে জানা গেছে এর ৬০ শতাংশ ব্যবহারকারীই প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করে।