বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তি জোরদারকরণ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতার প্রক্রিয়া উন্নতকরণে যৌথভাবে ‘প্ল্যাটফর্মস ফর ডায়ালগ (পিফরডি)’ প্রকল্প উদ্বোধন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও ব্রিটিশ কাউন্সিল।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তিরিঙ্ক, বাংলাদেশ জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেক্টর ড. এম আসলাম আলম, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যাকাডেমির রেক্টর মো. মোশারফ হোসেন এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর বারবারা উইকহ্যাম।
স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে একীভূত শাসন প্রক্রিয়াকে জোরালো করতে এবং সরকার, জনগণ ও সুশীল সমাজের মধ্যে অধিকতর সহযোগিতাপূর্ণ ও পারস্পরিক দায়িত্বের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে সহায়তা করবে পিফরডি প্রকল্প।
এ প্রকল্প অনুযায়ী, বাংলাদেশের ২১ জেলার (পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বান্দরবান পার্বত্য অঞ্চল, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মুন্সিগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, নেত্রকোনা বাগেরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া রাজশাহী, নাটোর, পাবনা পঞ্চগড়, নীলফামারী, গাইবান্ধা, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ) স্থানীয় পর্যায়ের সুশীল সমাজের সংগঠন (সিএসও) স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ পাবে। প্রকল্প শেষ হওয়ার পর, সিএসও কিছু দক্ষতা উন্নয়ন করবে এবং স্থানীয় সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অর্জিত জ্ঞান ও উন্নীত দক্ষতা বাস্তবে প্রয়োগ করবে।
জাতীয় পর্যায়ে পিফরডি, সপ্তম পঞ্চ-বার্ষিকী পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা এবং জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, তথ্য অধিকার আইন ২০০৯, নাগরিক সনদ এবং অভিযোগ প্রতিকার পদ্ধতির বাস্তবায়নের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করবে। কার্যকরী ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে সুশীল সমাজ/নাগরিকদের সম্পৃক্ত করে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে নতুন কৌশল ও পলিসি প্ল্যাটফর্মে উন্নীত করা হবে।
প্রকল্পটি ২০২০ সালে শেষ হবে। আনুমানিক বাজেট হিসেবে প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার দিবে ৩৪ লাখ টাকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন দিবে ১৩ মিলিয়ন ইউরো।
এ প্রকল্পের ফলে, নাগরিক স্বার্থে অধিকতর জবাবদিহিতা ও কার্যকরী সাড়া বৃদ্ধি পাবে যার মাধ্যমে সিএসও’র সামর্থের বৃদ্ধি হবে যা সরকারি নীতিমালাকে প্রভাবিত করবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের অধিকতর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সিএসওদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা ও সাড়া বৃদ্ধি ঘটানোও এ প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। পাশাপাশি, এ প্রকল্প, সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে কার্যকরী সংলাপের মাধ্যমে নতুন কৌশল ও নীতিমালার প্ল্যাটফর্মের উন্নয়ন ও প্রয়োগ ঘটাবে।