Hawk – Eye

 Hawk – Eye:

বিশ্বকাপ শুরু হতে এখন আর মাত্র কয়েক প্রহর বাকি। ক্রিকেট নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়ে গেছে এখনি। আমরা অনেকেই ক্রিকেট খেলা শুধু দেখি, কিন্তু এর অনেক কিছুই বুঝি না। যেমন “Hawk- Eye” এর ব্যাপারটি।

আবিষ্কারঃ

প্রাথমিকভাবে ২০০১ সালে ‘রক ম্যনর রিসার্চ লিমিটেড’ এর বিজ্ঞানীরা এই প্রযুক্তির উদ্ভাবন করে। ‘রক ম্যনর রিসার্চ লিমিটেড’ ইংল্যন্ডের হাম্পশায়ারে অবস্থিত। পরে এই প্রযুক্তিকে আলাদা ভাবে ‘হক আই ইনভেশন্স লিমিটেড’এ স্থানান্তর করা হয়।

যেভাবে ব্যবহার করা হয়ঃ

পিচ বরাবর মাঠের দুই প্রান্তে ৩টি করে, ৬টি বিশেষ ক্যামেরা লাগানো থাকে এই পদ্ধতির জন্যে। প্রতিটি ক্যামেরার মাধ্যমে প্রতিটি বলের আলাদা আলাদা অবস্থা ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে সবগুলো ফুটেজ একত্র করে রিয়েল টাইম রিপ্লের দ্বারা ত্রিমাত্রিক অণুলিপি তৈরীর মাধ্যমে এই পদ্ধতির কাজ চালানো হয়।

মূলত “Hawk- Eyeএর মাধ্যমে ক্রিকেট বলের গতিবিধি সূক্ষ্মভাবে পর্যালোচনা করা হয়।

এই পদ্ধতির সবচেয়ে বেশি ব্যাবহার হয় এলবিডব্লিউ (LBW) এর আবেদনের সময়।

এলবিডব্লিউ এর আবেদন “Hawk-Eye”এর মাধ্যমে ৩ ভাবে পর্যালোচনা করা হয়ঃ

১. বলটি লাইন বরাবর পড়লো কিনা।

২. ব্যাটসম্যানের পা এর অবস্থান স্ট্যাম্প বরাবর আছে কিনা, এবং স্ট্যাম্পের উচ্চতার সাথে ব্যাটসম্যানের পায়ের উচ্চতার ব্যাবধান কতটুকু।

৩. বলটির গতিপথ কোন দিকে যাচ্ছে, অর্থাৎ বলটি সুইং করে স্ট্যাম্প বরাবর যাচ্ছে কিনা।

উপরের ৩টি কাজ শেষে থার্ড আম্পায়ার নতুন ডিসিশন বা মতামত প্রদান করেন।

এছাড়া, Hawk – Eye এর মাধ্যমে একটি ওভারের ছয়টি বল কোথায় পিচ করেছে বা বলটি ব্যাটসম্যানের কাছে কিভাবে গেছে অর্থাৎ ওভারের ছয়টি বলের গতিপথ নির্ণয় করা যায়। 

Hawk-Eye এর কিছু সীমাবদ্ধতা : 

যেমন,

ধরা যাক, কোনো একজন বোলার স্পিন বল করছে। সেই বলটা গুগলি বা আর্ম বল নয়, অরজিনাল লেগ স্পিন। আর বলটা সোজা গিয়ে পড়লো লেগ স্ট্যম্পের সামনে থাকা ব্যটসম্যনের পায়ে। এতে বলটা ব্রেক করার সুযোগ পেল না। কিন্তু সুযোগ পেলে করতো। কিন্তু ‘হক আই’ এ ক্ষেত্রে বলের ব্রেক ধরতে পারবে না। ‘হক আই’ দেখাবে বলটা লেগ স্টাম্পের সামনে পড়ে ব্রেক করে লেগ স্টাম্পের এক/দুই ইঞ্চি বাহির দিয়ে বেরিয়ে গেছে।

Read Also

SNICKOMETER:

যখন বল ব্যাটের প্রান্ত মৃদুভাবে ছুঁয়ে অতিক্রম করে যায় তখন সাধারণত বোঝা যায় না সেই শব্দ। সেই শব্দ ধারণ করে এই স্নিকোমিটার।

কিন্তু বাস্তবে বলটা ব্রেক করে অফ বা মিডেল স্ট্যাম্পে লাগার কথা। এতে ব্যটসম্যন বেঁচে গেলো, বোলার উইকেট পেলো না !

বর্তমানে ক্রিকেট ছাড়াও আরো কিছু কিছু খেলায় “হক-আই” প্রযুক্তির প্রচলন শুরু হয়েছে। টেনিস খেলায় " হক আই "প্রুযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া, ফুটবল খেলায় গোল লাইনে এই প্রযুক্তির ব্যবহার চালু হয়েছে। 

 

        

 

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন