সাধারণত রান্নার স্বাদ বাড়াতে লবঙ্গ ব্যবহার করা হয়। তবে লবঙ্গের নিজস্ব খাদ্যগুনও দারুন। রোগ প্রতিরোধ, দাঁতের সুরক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকার কারণে নিয়মিত লবঙ্গ খাওয়া উচিত।
লবঙ্গ হলো গাছের ফুল। ইন্দোনেশিয়ায় এর জন্ম হলেও, আফ্রিকা ও এশিয়ার বহু দেশেই এর চাষ হয়। আয়ুর্বেদিক ওষুধ, রান্নার মশলা ছাড়াও এই ফুলকে পুষ্টির ‘পাওয়ার হাউজ’ বলা হয়।
লবঙ্গ ও ডায়াবেটিস
লবঙ্গের ঔষধিগুণ প্রচুর। হজম এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায় শত-শত বছর ধরে লবঙ্গ একটি কার্যকর ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে এবং বি কমপ্লেক্স। এসবের পাশাপাশি ব্লাড সুগারের রোগীদের জন্যও দারুণ উপকারী লবঙ্গ। ২০০৬-এর একটি গবেষণায় প্রমাণ হয়েছিল, ডায়াবেটিস রোগীরা যদি রোজ ১ থেকে ৩ গ্রাম লবঙ্গ খান, তবে তাঁদের সুগারের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়।
লবঙ্গ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
ম্যাঙ্গানিজ, লোহা, সেলেনিয়াম, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থও রয়েছে এতে যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। লবঙ্গ পরিপাকনালীর জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
বদহজম, বায়ু, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটফাঁপা দূর করতে কার্যকরী লবঙ্গ। এছাড়া লবঙ্গর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পলিফেনলস। মানবশরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি পূরণ করে এই পলিফেনলস।
এছাড়াও দাঁতের মাড়ি, দাঁত জীবাণুমুক্ত রাখে লবঙ্গ। এর থেকে তৈরি লবঙ্গ তেল দিয়ে দাঁতের ব্যথা দূর করার তেল তৈরি হয়।
কীভাবে খাবেন লবঙ্গ?
গোটা বা গুঁড়ো– এই দু’ভাবেই বাজারে লবঙ্গ পাওয়া যায়। গোটা খেতে হলে পানিতে ফুটিয়ে একটু নরম করে লবঙ্গ খেতে পারেন। ১০-২০টি লবঙ্গ পানিতে ফুটিয়ে রেখে, ফোটানো পানিও খেতে পারেন। রান্নায় গোটা লবঙ্গ ব্যবহার বাড়িয়ে তুলুন। স্যুপ বা স্টু জাতীয় রান্নায় অবশ্যই লবঙ্গ দিন।