জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা আজ বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। এই দুই পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন। এর মধ্যে ১৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬০১ জন ছাত্রী ও ১২ লাখ ২৩ হাজার ৭৩২ জন ছাত্র।
সর্বশেষ নিয়মানুযায়ী, এবার সব পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ের আঘা ঘণ্টা আগেই পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র, কর্মচারীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারছেন না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশের ২৯ হাজার ৬৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ১ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দুই হাজার ৯০৩টি কেন্দ্রে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
আট বোর্ডের অধীনে এবার জেএসসিতে ২২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৩ জন এবং মাদরাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে ৪ লাখ ২ হাজার ৯৯০ জন পরীক্ষা দিচ্ছে। গতবছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ২ লাখ ১ হাজার ৫১৩ জন।
এবারও বাংলা দ্বিতীয়পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র ছাড়া অন্য বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হচ্ছে। শ্রবণ প্রতিবন্ধীসহ অন্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা এবারও অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাচ্ছে। এছাড়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই তারা শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারছে।
অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম এবং সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে। তারা শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দিচ্ছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট আগে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রসচিবকে খুদে বার্তায় জানানো হবে – কোন সেট প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে। এরপর প্রশ্নপত্রের মোড়ক খুলতে হবে।