আমাদের আশেপাশে কোটি কোটি প্রাণীর বাস। তার মাঝে বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের আওতায় হয়তো এসেছে শ’খানেক প্রাণী। আর তার মধ্য থেকেও আমরা চিনি এবং জানি এমন প্রাণীর সংখ্যা হাতে গোণা কয়েকটি।
আবার চেনা-জানা প্রাণীগুলোর সম্পর্কেও আছে এঅনেক অদ্ভুত আর মজার তথ্য যা হয়তো আমাদের অজানা। আর সেরকম কিছু আজব তথ্য নিয়েই আমাদের এই আয়োজন-
*উটের চোখের পাতা দুটি। দ্বিতীয় স্বচ্ছপাতাটির নাম হল ‘নিকটিটেটিং মেমব্রেন’।
* উটপাখির চোখ তার মস্তিষ্কের চেয়ে অাকারে বড় ।
* উট চাইলে নিজের ইচ্ছামতই নিজের নাকের ফুটো বন্ধ করতে পারে।
এ কারণে মরুভূমির বালির ঝড়েও উট চলাচল করতে পারে স্বচ্ছন্দে।
* শিম্পাঞ্জিরা আয়নায় নিজেদের চিনতে পারে কিন্তু বাঁদররা পারে না।
* প্রজাপতি খাবারের স্বাদ নেয় পায়ের মাধ্যমে।
* একটা হাতি ৩ মাইল দূর থেকে পানির গন্ধ পায়।
* কাঠঠোকরা প্রতি সেকেণ্ডে কুড়িবার ঠোকর মারতে পারে কোনো গাছের গুঁড়িতে।
* বিড়াল ১০০ রকম শব্দ করতে পারে। আর কুকুর পারে মাত্র ১০ রকম।
* মাথা কাটা পড়লেও তেলাপোকা বেঁচে থাকে কয়েকসপ্তাহ।
* একটি জলহস্তি চাইলে পানির নিচে ৩০মিনিট পর্যন্ত দম বন্ধ করে থাকতে পারে।
* উইপোকারা হেভি মেটাল মিউজিক খুব পছন্দ করে। মিউজিক শোনার সময় তারা দ্বিগুণ গতিতে কাঠ কাটতে পারে। তাই হেভি মেটাল প্রেমীদের সাথে উইপোকাদের জমবে বেশ!
* ডলফিন এক চোখ খোলা রেখে ঘুমায়।
* কুমির চিবুতে পারে না। শিকারকে ধরার পর সরাসরি গিলে ফেলে।
* একটা মাছ তার স্মৃতি ধরে রাখতে পারে মাত্র ৩ সেকেন্ড।
* একটি শামুকের থাকে ২৫ হাজার দাঁত।
* ইঁদুর আর ঘোড়া কখনো বমি করেনা।
* প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নীল তিমি শব্দও করতে পারে সবচেয়ে জোরে।
তিমিরা পরস্পরের মধ্যে ভাব বিনিময়ের সময় যে শিস দেয় সেটা প্রায় ৫৩০ মাইলদূর থেকেও শোনা যায়।
* টাইগার শার্ক (হাঙরের একটি প্রজাতি) এর বাচ্চারা মায়ের পেটে থাকাকালীন অবস্থায় একে অপরের সাথে মারামারি শুরু করে।। যেটা বেঁচে থাকে সেটা জন্ম নেয়।। অন্যটা পেটেই মারা যায়।
* চিতাবাঘ কিন্তু বাঘ কিংবা সিংহের মত গর্জন করেনা। এটি বিড়ালের মত ম্যাও ম্যাও শব্দ করে থাকে অনেকটা।
* প্রতি এক হাজার সামুদ্রিক কচ্ছপ ছানার মধ্যে মাত্র একটি ছানা জন্মের পর টিকে থাকতে পারে।
* চকলেট হলো কুকুরের জন্য বিষ। ১টা বড় কুকুরকে মারতে সামান্য কয়েক পাউন্ড চকলেটই যথেষ্ট।
* কুকুর শাবক অন্ধ, বধির আর দাঁতবিহীন অবস্থায় জন্মায়।
* মশা কিন্তু রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে না। মূলত রক্তের প্রোটিন অংশটি কাজে লাগিয়ে তারা ডিম পারে। মশার আসল খাদ্য হলে গাছের রস।