সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ঘোষণা দিয়েছে তারা একটি সুবিশাল সামুদ্রিক অভয়ারণ্য গড়ে তুলবে যার আয়তন হবে প্রায় ফ্রান্সের আয়তনের সমান। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই তারা তাদের দেশ সংলগ্ন দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় মাছ ধরা এবং যেকোনো ধরণের খননকাজের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দেশটির এ অভয়ারণ্য পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ একটি সামুদ্রিক অভয়ারণ্য হতে যাচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জন কি জাতিসংঘের ভাষণে জানান, ২০১৬ সালের মধ্যেই তাদের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে পারে।
কারমাডেক সামুদ্রিক অভয়ারণ্য নামের এই এলাকাটি প্রায় ৬ লাখ ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এই অঞ্চলের সমুদ্রের নিচেই একটি আগ্নেয়গিরির সারি অবস্থান করছে। এছাড়া পৃথিবীর বিপদাপন্ন জীববৈচিত্র্যের একটা বড় অংশ যেমনঃ তিমি, ডলফিন আর কচ্ছপ বাস করে এই এলাকার মধ্যেই।
তবে এই ঘোষণার কারণে চিন্তায় পড়েছেন নিউজিল্যান্ডের সামুদ্রিক মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞার কারণে টুনাসহ অন্যান্য খাদ্য উপযোগী সামুদ্রিক মাছ তারা ধরতে পারছেন না। এতে তাদের মৎস্যশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা আরও বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে আগে থেকে কোন কিছুই জানায়নি সরকার। উল্লেখ্য, টুনামাছ নিউজিল্যান্ডের রপ্তানিকৃত মাছগুলোর মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম।
একই সাথে খনি প্রতিষ্ঠানগুলোও এই সিদ্ধান্তে খুশি নয়। এই অঞ্চল নিয়ে তাদের বেশ কিছু খনন পরিকল্পনা ছিল বলে তারা জানান।
তবে পরিবেশবিদ এবং পরিবেশ সংরক্ষকেরা দারুণভাবে স্বাগত জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্তকে। তাদের মতে, এই সিদ্ধান্তের কারণে নিউজিল্যান্ড সমুদ্র রক্ষায় বিশ্বনেতৃত্বের আসন দখল করলো।