‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগান নিয়ে প্রতিবছরের মতো এ বছরও বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে ৮ম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও খুলনা বিভাগে।
এবারের উৎসবে সারাদেশের ১৪টি ভেন্যুতে ৪৬টি দেশের দুইশ’র অধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। উৎসবের আয়োজক চিলড্রেন ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ। ২৪ জানুয়ারি শনিবার বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরী চত্বরে উৎসবের উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন উৎসব উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফা মনোয়ার। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরেন উৎসব পরিচালক রায়ীদ মোরশেদ। বক্তব্য রাখেন সিএফএস বাংলাদেশ-এর সভাপতি ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মুনিরা মোরশেদ মুন্নী ও চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম।
উৎসবটি সম্পর্কে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘এটি একটি ভিন্নরকম উৎসব। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের শিশু কিশোররা চলচ্চিত্র সম্পর্কে জানবে, শিখবে। জিপিএ-৫ পাওয়ার নামে শিক্ষার্থীরা সারা বছর পড়াশোনার চাপে থাকে। সে চাপের মধ্য থেকে সামান্য পরিত্রান ও বিনোদন পেতে এই উৎসবটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।’
চলচ্চিত্র প্রদর্শনের স্থান এবং সময়
ঢাকায় মূল উৎসব কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরীর শওকত ওসমান মিলনায়তন। উদ্বোধনের পরদিন থেকে প্রতিদিন সকাল ১১টা, দুপুর ২টা, বিকেল ৪টা এবং সন্ধ্যা ৬টা-য় চলচ্চিত্র প্রদর্শিত। প্রতিদিন মোট ৪টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। প্রতিটি প্রদর্শনীতে একাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখানো হবে।
উৎসবের দর্শক
উৎসবের সকল প্রদর্শনী অভিভাবকসহ শিশু-কিশোরদের জন্য উন্মুক্ত।
উৎসবের প্রতিযোগিতা
প্রতিবারের মতো এবারও উৎসবের আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা। এই বিভাগে এবার জমা পড়া ৮০টি চলচ্চিত্রের মধ্যে থেকে বিচারকদের রায়ে নির্বাচিত ৩০টি ছবি প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে ৫টি ছবি পুরস্কৃত করা হবে। পুরস্কার হিসেবে রয়ছে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট এবং আর্থিক প্রণোদনা। এছাড়া এবার ‘ইয়াং বাংলাদেশি ট্যালেন্ট’ নামে একটি নতুন পুরস্কার চালু করা হয়েছে যেখানে ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ নির্মাতারা অংশ নিবেন।
প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা
এবার উৎসবকে ঘিরে প্রথমবারের মত একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এ বিভাগে উৎসব কমিটির দ্বারা মনোনীত বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশের মোট ১৫টি চলচ্চিত্র অংশ নেবে। চলচ্চিত্রগুলো বিচার করবেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত প্রবীণ নির্মাতা বুদ্ধদেব দাস গুপ্তকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের একটি জুরি বোর্ড।