রাশিয়ার নভোচারী গেনাদি পাদাল্কা তার পঞ্চম মহাকাশভ্রমণ শেষ করে পৃথিবীতে ফিরেছেন। এই নিয়ে তিনি সর্বমােট ৮৭৯ দিন মহাকাশে কাটিয়েছেন যা একটি নতুন রেকর্ড। পৃথিবীর সবচাইতে অভিজ্ঞ এই নভোচারী এবং তার ২ সহকর্মী শনিবার একটি সয়্যুজ ক্যাপসুলে করে কাজাখস্তানে নিরাপদে অবতরণ করেন।
৫৭ বছর বয়সী এই সাবেক স্টেশন কমান্ডার ৮৭৯ দিন পৃথিবীর কক্ষপথে অবস্থান করে নতুন রেকর্ড গড়েছেন। আগের রেকর্ডটি করেছিলেন আরেক রাশিয়ান সারজেই ক্রিকালেভ। যিনি ৬ বারে মোট ৮০৩ দিন মহাকাশে ছিলেন।
শনিবার অবতরণের সময় তার সাথে আরও ২জন নতুন নভোচারী ছিলেন। যাদের মহাকাশে অবস্থানের অভিজ্ঞতা ১০ দিনেরও কম। নভােচারীদ্বয়ের একজন কাজাখস্তানের আইদিন আইমবেতভ এবং আরেকজন ডেনমার্কের আন্দ্রেস মগেন্সেন। সয়্যুজ TMA-16M ক্যাপসুলে করে তারা পাদাল্কার সঙ্গে পৃথিবীতে ফিরে আসেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে মগেন্সেন বলেন, ‘আসলে এতদিন পৃথিবীর বাইরে থাকলেও ঘরের প্রতি টান অনুভব করার সময় একদমই পাইনি। কোনদিক দিয়ে যেন সময় পার হয়ে গিয়েছে’।
বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে অবস্থান করছেন নাসার স্টেশন কমান্ডার স্কট ক্যালি এবং কেজেল লিন্ডগ্রেন। সাথে আরও আছেন রাশিয়ার মিখাইল করনিয়েঙ্কো, সারজেই ভলকভ, ওলেগ কননেঙ্কো এবং জাপানের কিমিয়া ইউয়ুই।
আসলে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে নাসা এবং রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণা করে দেখছেন যে বছরব্যাপী মাধ্যাকর্ষণের বাইরে থাকলে তা মানুষের উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে কী প্রভাব ফেলে এবং এর যে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব কীভাবে মোকাবেলা করা যায়।
নাসা পরিকল্পনা করছে, আগামী ১০ বছরে তারা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকেও আরও দূরে নভোচারী পাঠাবে। পৃথিবী থেকে ২৫০ মাইল উপরে ১০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে তারা একটি গবেষণাগার তৈরি করতে যাচ্ছে।
এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনাও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।