যন্ত্রটি সংখ্যা পড়তে পারে !

বারকোড মেশিনে তৈরী একপ্রকারের সাংকেতিক কথা, বর্তমান সময়ে এটি একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। এর মাধ্যমে ছোট্ট একটা ছবির মধ্যে অনেক তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা যায়। আর একারণেই আজকাল বিভিন্ন পণ্য ও অন্যান্য বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে এই বারকোড এখন অহরহ ব্যবহার হচ্ছে। এই বারকোড ডিকোড করতে হলে তার ছবি তুলে বারকোড স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান করতে হয়। আজকাল অনেক মোবাইলের জন্যেও বিভিন্ন বারকোড রিডার সফটওয়্যার পাওয়া যায়। 

বারকোড হছে বিভিন্ন সাইজের মেশিন রিডেবল কতগুলো লম্বা লাইন বা বার যেগুলো স্বতন্ত্রভাবে কোন প্রতীক নির্দেশ করে এবং সম্মিলিতভাবে একটি স্বতন্ত্র কোড ধারণ করে। বিভিন্ন পণ্যের গায়ে ভাল করলে লক্ষ্য করলে বারকোডের দেখা মিলবে যা ঐ পণ্যের ইউনিক একটি কোডের ধারক। এছাড়া বিভিন্ন সুপার শপ গুলো তাদের পণ্যের গায়ে আলাদা করে বারকোড যুক্ত স্টিকার লাগিয়ে রাখে তাদের সুবিধার জন্য। 

বড় বড় শপিংমলে শপিং করতে গেলে দেখবেন পণ্যের সাথে লাগানো ছোট্ট কাগজে যেখানে দাম লেখা আছে, তার একটু উপরেই কালো কালো কিছু দাগ দেওয়া। একটি ছোট্ট কম্পিউটারের সাথে যুক্ত যন্ত্র থেকে লাল আলো বের হয়, ঐ যন্ত্রটিকে এই কালো কালো দাগগুলোর উপরে ধরলেই কম্পিউটারে পণ্যটির নাম এবং মূল্য চলে আসে। মূলত যাতে বড় কোন হিসাব করতে ভুল না হয় সেজন্যে ব্যবহার করা হয় এই বারকোড। প্রকৃতপক্ষে বারকোড এমন একটি কোড যা যন্ত্র ছাড়া পড়া প্রায় অসম্ভব ! যন্ত্রটিকে ধরলেই সুন্দরভাবে বলে দেবে বারকোডের মধ্যে কি কথা লুকানো আছে ! বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যাদের মাধ্যমে বারকোড তৈরী করা যায় এবং রিড করা যায়।

বারকোডকে মোর্স কোডও বলা হয়। বিজ্ঞানি মোর্স এর জনক। এতে বিভিন্ন প্রস্থের কিছু সাদা কালো দাগ থাকে আর এই সাদা কালো দাগের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে পণ্য সম্পর্কিত তথ্য। কম্পিউটারের সাহায্যে দাগের উপর আলো সংবেদনশীল করে তাতে কিছু ডাটা রাইট করা হয়। এই রাইট করা তথ্য কেবল বারকোড স্ক্যানারে ধরা পড়ে। ১২ টি সাংকেতিক নাম্বার দ্বারা বারকোড গঠিত হয় ।  যাকে বলা হয় UPC-A (Universal Product Code -UPC)।

বারকোড রিডার বেশ কয়েক ধরণের হয়। পেন-টাইপ রিডার কলমের মত দেখতে হয়, এতে একটি লাইট সোর্স এবং ফটোডায়োড একটির পর আরেকটি যুক্ত থাকে। ফটোডায়োডটির কাজ হল কোডের ওপর আলো ফেলে কোডটিকে রিড করা। লেজার স্ক্যানার একইভাবে কাজ করে, শুধু এখানে ফটোডায়োডের বদলে লেজার ব্যবহার করা হয়। সিসিডি রিডারে লেজার বা ডায়োডের বদলে বেশ অনেকগুলো লাইট সেন্সর বসানো থাকে, এবং এই সেন্সরগুলোই কোড রিড করে। এছাড়া আজকাল মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়ে বারকোড রিড করা যায়, এবং এর জন্য বেশ কিছু সফটওয়্যার বাজারে পাওয়া যায়।

গুগল প্লে স্টোরেই অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য বারকোড স্ক্যানার পাওয়া যায়। এছাড়া উইন্ডোজের জন্যও বেশ কিছু ভালো সফটওয়্যার রয়েছে।

https://listoffreeware.com/list-of-best-free-barcode-scanner-software-for-windows/

এই ওয়েবসাইটে উইন্ডোজের জন্য ১০টি ভালো বারকোড রিডার সফটওয়্যার পাবেন।

 

রিপ্লাই লিখুন:

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন