বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলার সময় সবসময় একজন মানুষকে সবার চোখে পড়ে। পাগলের মত গ্যালারির এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে লাল সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে দৌড়াতে থাকে, পুরো শরীরে বাঘের মত ডোরাকাটা দাগ আঁকা মানুষটা প্রতিটি খেলায় সাপোর্ট করে যায় টাইগারদের। শুধু বাংলাদেশেই না, পৃথিবীর প্রায় সব দেশেরই এরকম কয়েকজন সাপোর্টার থাকেন, যারা সবকিছু উজাড় করে দিয়ে মাঠে থাকা এগারো জনকে আত্মবিশ্বাস জোগান দিয়ে থাকেন। খেলার জন্যে, খেলার মাঠে অনেক কিছুই হয়। যা ক্রীড়াঙ্গনে নতুন আঙ্গিক এনেছে।
খেলার মাঠে দর্শকদের উন্মাদনা নিয়ে আজ থাকছে আরও কিছু চমকপ্রদ তথ্যঃ
খেলা দেখতে গিয়ে বারবি কিউ এর স্বাদঃ
চড়ুইভাতির কথা মনে আছে ?? ছোট ছোট পাতিলে করে রান্না করে খেলার কথা। ঠিক এমনটাই হয় এখানে। যারা খেলা দেখতে আসে, সাথে করে নিয়ে আসে রান্নার সামগ্রী। খেলা দেখার পাশাপাশি BBQ এর ব্যবস্থাও রয়েছে কিছু স্টেডিয়ামে। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের সেডন পার্ক, দক্ষিন আফ্রিকার নিউ ওয়ান্ডারস সহ আরও কিছু স্টেডিয়ামে এই ব্যবস্থা রয়েছে। আবার, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কিছু স্টেডিয়ামে মিনি সুইমিং পুলের ব্যবস্থাও আছে।
বাদ্যযন্ত্র নিয়ে মাঠে যাওয়াঃ
খেলার মাঠে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে যাওয়া অনেক পুরোনো একটি প্রথা। আগে বাংলাদেশের মাঠগুলোতেও এই সুবিধা ছিলো। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে এখন এই নিয়ম বন্ধ আছে।
বাদ্যযন্ত্র নিয়ে মাঠে যাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায় শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠগুলোতে। পাশাপাশি ক্রিকেটের নতুন সংযোজন টি -টুয়েন্টি ম্যাচগুলোতে প্রায় সব সময়ই অতিরিক্ত একজন ডিজে রাখা হয়, যিনি পুরো ম্যাচে ওভার বিরতিতে বিভিন্ন রকম মিউজিক প্লে করেন।
ভুভুজেলাঃ
দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০১০ ফুটবল বিশ্বকাপের সবচেয়ে মজার এবং পাশাপাশি বিরক্তিকর একটি উদ্ভাবন ছিলো এই ভুভুজেলা। ছোট একটি কঞ্চির মত এই ভুভুজেলা থেকে তীব্র আওয়াজ বের হয়, যা গ্যালারি ছাপিয়ে মাঠে থাকা খেলোয়াড়দের মনোযোগও নষ্ট করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠগুলোতে ভুভুজেলার অবাধ প্রবেশ রয়েছে। তবে ফুটবল মাঠে ভুভুজেলা নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে গত বছর ।
চিয়ারলিডারঃ
খেলার পাশাপাশি দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্যে বাউন্ডারি লাইনের পাশে ছোট্ট স্টেজে চিয়ারলিডারদের আনাগোনা ক্রিকেটের একটি নতুন সংযোজন। ক্রিকেটে চার-ছয় মারলে বা উইকেট পড়লে চিয়ারলিডারদের ধুমধাড়াক্কা নাচানাচি আসলেই চোখে পড়ার মতো। আগে বাস্কেটবল খেলার সময় চিয়ারলিডার দেখা যেতো, সেই ধারা এখন ক্রিকেটেও দেখা যায়।
বর্তমানে খেলা শুধু অবসর সময় কাটানোর জন্যে নয়, বিনোদনের একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্তত সময়ের সাথে সাথে এরকম করে রংবদল হয়ে যাওয়াতে মানুষ আগের চেয়ে বেশি খেলামুখী হচ্ছে।
নির্দিষ্ট আসরের থিম সংঃ
২০০৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের কথা মনে আছে? শাকিরার Hips don’t lie, কিংবা ২০১০ বিশ্বকাপে শাকিরার Waka waka, অথবা ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপে শঙ্কর, এহসান এবং লয় এর "মার ঘুরিয়ে” গানটি? প্রত্যেকটি আসরের জন্যে একটি গান নির্বাচন করা হয় থিম সং হিসেবে। এর মধ্যে কিছু গান খুব কম সময়ের মধ্যে বিপুল সাড়া সৃষ্টি করে ফেলে। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০১৪ টি-২০ বিশ্বকাপের “চার ছক্কা হই হই” গানটিও অবশ্য অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই গানটির সঙ্গে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ ফ্ল্যাশ মব ও তৈরি করে।
নিচে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফুটবল বা ক্রিকেট আসরের থিম সং কি ছিল তা দেয়া হলঃ
Sports Event |
Official Theme Song |
Singer/Band |
1998 Football World Cup |
The Cup of Life |
Ricky Martin |
2006 Football World Cup |
Hips Don't Lie |
Shakira |
2010 Football World Cup |
Waka Waka |
Shakira |
2014 Football World Cup |
We are One |
Pitbull |
2011 Cricket World Cup |
De Ghuma Ke |
Shankaar- Ehsan- Loy |
2015 Cricket World Cup |
It is time for us |
WDL – Bob's Beat (Feat. Mawe) |