নাটালি আর্টজ ‘ওয়াইল্ডল্যান্ড ডিফেন্স’ নামক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর। কিছুদিন আগে তিনি গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের নর্থ রিমের এক তৃণভূমিতে দাঁড়িয়ে তিনি নেকড়ের মত গর্জন করতে লাগলেন। আসলে তিনি একটা প্রাণীর দেখা মিলবার আশায় ছিলেন।
গত কয়েকদিনে কমপক্ষে এক ডজনবার বিভিন্ন পর্যটক আর পার্ক রেঞ্জারদের চোখে ধরা পড়েছে এই প্রাণী। তাদের ভাষ্যমতে প্রাণীটি হয়তোবা একটি মেক্সিকান গ্রে-উলফ, কয়োটে গ্রে-উলফ, কুকুর আর নেকড়ের সংকর অথবা রকি পর্বতমালার উত্তর দিক থেকে আসা কোন গ্রে-উলফ বা ধূসর নেকড়ে।
সর্বশেষ সম্ভাবনাটার কথা শুনে নেকড়ে গবেষকেরা নড়েচড়ে বসেছেন। যদি এটি সত্যিই কোন গ্রে-উলফ হয়ে থাকে তার মানে এটি বিশাল একটি অঞ্চল পাড়ি দিয়েছে।
ইউটাহ আর কলোরাডোর কাইবাব মালভূমির (আমেরিকার অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে অবস্থিত কাইবাব মালভূমি। বৃহত্তর কলোরাডো মালভূমির উত্তর দিকের অংশ এটি।) শত শত মাইল পথ পার হয়ে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের এ অংশে এসে পৌঁছেছে এই নেকড়ে।
১৯৪০ সালের পর থেকে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে কোন গ্রে-উলফ দেখা যায়নি। শিকারি এই প্রাণী একসময় উত্তর আমেরিকার সর্বত্র বিরাজ করতো, কিন্তু বিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে এরা বিলুপ্ত হয়ে যায় এ অঞ্চল থেকে।
এদের সংরক্ষন করার জন্য আমেরিকান সরকার ৪৮টি অঙ্গরাজ্যে এদের ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিলুপ্তপ্রায় বলে ঘোষণা করে। কাজটি বেশ ভালোভাবেই সফল হয়েছে। এখন প্রায় ১৭০০ নেকড়ে এ অঞ্চলে ঘুরে বেড়ায়। এদের মধ্যকার একপাল গ্রে-উলফের দেখা পেয়েছেন নাটালি আর্টজ।