২০১৬ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন ইয়োশিনরি অহসুমি। জাপানের এই বিজ্ঞানী ‘অটোফ্যাগী’ বা ‘প্রাণীকোষের নিজের উপাদানকে পুনঃপ্রক্রিজাত করণের প্রক্রিয়া’ আবিষ্কারের জন্য সর্বোচ্চ সম্মানজনক এ পুরষ্কার অর্জন করেছেন।
সোমবার সুইডেনের কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট চিকিৎসা বিজ্ঞানে চলতি বছরের বিজয়ী হিসেবে ৭১ বছর বয়সী অহসুমির নাম ঘোষণা করে। বর্তমানে টোকিওর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে অধ্যাপনা করছেন তিনি।
অহসুমি জাপানে জন্ম নেয়া ২৩তম নোবেল বিজয়ী আর চিকিৎসায় এ সম্মান অর্জন করা ৬ষ্ঠ ব্যক্তি। তিনি হাজার হাজার ইস্ট মিউট্যান্ট নিয়ে গবেষণা করেন এবং ১৫টি জিন সনাক্ত করেন যেগুলো অটোফ্যাগির জন্য অত্যাবশ্যক।
এক প্রেস রিলিজে নোবেল ফাউন্ডেশন জানায়, ১৯৬০ সালের আগ পর্যন্ত অটোফ্যাগি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই জানা গিয়েছিল। তবে নব্বইয়ের দশকে অহসুমির কিছু গবেষণা থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যায়। বর্তমানে বায়োমেডিকেল গবেষণায় অটোফ্যাগি প্রচুর অধ্যয়ন করা হয় যার পেছনে মূল অবদান রয়েছে অহসুমির।
ঠিক কোন জটিলতার কারণে ক্যান্সার থেকে শুরু করে পারকিনসন্সের মতোর জটিল রোগের সৃষ্টি হয় তা বুঝতে ইয়োশিনরি অহসুমির গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নোবেল পুরস্কারের অংশ হিসেবে ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার) পাচ্ছেন এই জাপানী। আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।
মঙ্গলবার পদার্থ, বুধবার রসায়ন, শুক্রবার শান্তি, আগামী ১০ অক্টোবর অর্থনীতিতে এবং ১৩ অক্টোবর সাহিত্যে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।